নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী শিল্পীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তার শ্বশুর আবুল কাশেম আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পারিবারিক কলহ এবং পুলিশ কর্মকর্তা ছেলে কর্তৃক অত্যাচারিত হয়ে তিনি এই হত্যাকান্ড ঘটান বলে স্বীকার করেন।
গত ১৩ আগষ্ট সোমবার বিকেলে উপজেলা সদরের বাওয়ার কুমারজানী গ্রামে শিল্প পুলিশের এএসআই ফিরোজ আল মামুন ও তার স্ত্রী শিল্পী বেগমকে বসত ঘরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়ার পর শিল্পীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মির্জাপুর থানা পুলিশ শিল্পীর শ্বশুর আবুল কাশেম ও শাশুড়ী অজুফা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করে। পরে নিহত শিল্পীর ভাই যোগীরকোফা গ্রামের মোস্তফা- মামুন, ছোট ভাই সানি ও তার মা বাবাকে আসামী করে মামলা করে।
পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করায় আবুল কাশেম এবং অজুফা বেগমকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দির জন্য। টাঙ্গাইলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট আদালতে শিল্পীর শ্বশুর আবুল কাশেম এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে আবুল কাশেম বলেন ব্র্যাক স্কুলে শিক্ষকতা এবং টিউশনি করে ছেলেদের মানুষ করেছি। বড় হয়ে চাকুরী পেয়ে আমাদের ভরনপোষনের পরিবর্তে অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে। এভাবে চলতে চলতে ছেলে মামুনের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ঘটনার ১৫/১৬ দিন আগেও এএসআই মামুন তাকে শারিরিক ভাবে নির্যাতন করে। এসব ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সুযোগ বুঝে তিনি এই হত্যাকান্ড ঘটান বলে জানান। এএসআই মামুন বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতোলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই হত্যা মামলায় মামুন প্রধান আসামী। মামুন সম্পর্কে শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপারকে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়ের মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই কমল সরকার জানিয়েছেন।