মির্জাপুর মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড নিয়ে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি

0
218

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মুঠোফোনে ফ্লেক্সিলোড (রিচার্জ) করা নিয়ে বাক বিতণ্ডার পর পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও দোকানের কর্মচারীর মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের পুরাতন বাসস্টেশনে ঈশা টেলিকমে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, মির্জাপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল খন্দকার ওই দোকানে মুঠোফোন রিচার্জ করতে যান। সেখানে ওই দোকানের কর্মচারী রাব্বি মিয়া তার মুঠোফোনের নম্বর খাতায় লেখেন। এ সময় রাব্বির সামনে আরও গ্রাহক ছিল। কিন্তু তাদের রেখে সোহেল তার মুঠোফোনে আগে রিচার্জ করতে বলেন। রাব্বি তাতে আপত্তি জানালে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

এক পর্যায়ে সোহেল রাব্বীকে গালাগাল করলে সে চেয়ার ছেড়ে উঠে সোহেলের মাথায় আঘাত করে। এতে সে রক্তাক্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে সোহেলকে নিয়ে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেন। তবে ঘটনার পর থেকে রাব্বি পলাতক বলে জানা গেছে।

দোকানের মালিক রুবেল মিয়া জানান, ঘটনার সময় তিনি দোকানে ছিলেন না।

এএসআই সোহেল খন্দকারের কাছে সাংবাদিক পরিচয়ে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি ওসির সঙ্গে কথা বলতে বলে সংযোগ কেটে দেন। এরপর বারবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, মুঠোফোনে ফ্লেক্সিলোড করা নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার পর সোহেলকে দোকানের কর্মচারী গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে তাকে মারধোর করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। রাব্বিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।