জনগনকে অন্ধকারে রেখে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গন তথা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে মূর্তি স্থাপন করে ৯২ শতাংশ মুসলমান অধ্যুষিত দেশের জনগনের ধর্মীয় আবেগ অনুভূতির সাথে এক প্রকার তামাশা করা হয়েছে। ২৫ মে বেলা ১১.০০টায় “সুপ্রীম কোর্ট চত্ত্বর থেকে গ্রীক দেবীর মূর্তি অপসারন ও রমজানের পবিত্রতা রক্ষার দাবীতে” সিলেট জেলা ও সিলেট মহানগর মুসলিম লীগের যৌথ উদ্যোগে সিলেট কোর্ট চত্ত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে এসকল কথা বলেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ। সিলেট জেলা মুসলিম লীগের সভাপতি প্রবীন জননেতা আখলাক আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুনামগঞ্জের সাবেক এম.পি এডভোকেট বদরুদ্দোজা আহমেদ সুজা বলেন, মুসলমানদের ধর্মীয় অন্যতম একটি স্পর্শকাতর স্থান জাতীয় ঈদগাহের পাশে মূর্তি স্থাপন দেশের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে থাকা নাস্তিকদের দীর্ঘমেয়াদী কোন পরিকল্পনার অংশ। তাহাজ্জুব তমদ্দুন বিরোধী এ মূর্তি দ্রুত অপসারিত না হলে তৈহীদি জনতা ঐক্যবদ্ধ ভাবে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে। সরকারের উচিত দেশের সাধারণ জনগনের এ দাবী অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা। জনাব সুজা হাওড় অঞ্চলের মানুষ হিসাবে তাদের দুঃখ দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে বলেন, হাওর অঞ্চলের মানুষ আজ দুর্ভিক্ষের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে, অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আসন্ন রমজানে হাওড় অঞ্চল সহ বানভাসী মানুষের মাঝে বিনামূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য ও ইফতার সামগ্রী বিতরনের জন্য তিনি সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের বলেন, মূর্তি মন্দিরে থাকবে, জাতীয় ঈদগাহে নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করার পরও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট পাঙ্গন তথা জাতীয় ঈদগাহ ময়দান থেকে গ্রীক দেবীর মূর্তি এখনো অপসারিত না হওয়াটা দূর্ভাগ্যজনক এবং রহস্যময়। মূর্তি স্থাপনকারীদের ক্ষমতার উৎস কোথায় তা জাতি জানতে চায়। তিনি উপমহাদেশে মুসলিম গণজাগরনের দল শতবর্ষী মুসলিম লীগ থেকে এই প্রথম বারের মত হযরত শাহ জালালের পবিত্র ভূমি সিলেট থেকে সভাপতি মনোনীত হওয়ায় জনাব এডভোকেট বদরুদ্দোজা আহমেদ সুজাকে অভিনন্দন জানান।
আরও বক্তব্য রাখেন, বিশ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ইসলামী এক্য জোটের চেয়ারম্যান এডঃ মাওলানা আবদুর রকিব, কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এইচ খান আসাদ, সিলেট মহানগরী মুসলিম লীগের সভাপতি আবদুর শকুর শায়েস্তা, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিন বোরহানাবাদী, শাহাদাৎ আহমেদ চৌধুরী যাবু, মুসলিম ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আসলাম রহমানী, মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী, মাহাবুবুর রহমান খালেদ, মাওলানা সালেহ আহমেদ শাহবাগী, মাওলানা আবদুস সালাম, মাওলানা ওয়াদুদ, মাওলানা মাহমুদ, মাওলানা এনামুল হক, মাষ্টার আজিজ, আরিফ রাব্বানী, ফয়সাল মাহমুদ আকবরী প্রমুখ।