জরিপে অংশ নেওয়া ২০০০ জন ১৮ বছর বয়সী যুবক যুবতীর এক তৃতীয়াংশের বেশি উল্লেখ করেছেন, তারা তাদের বাবা-মাকে মোবাইল হতে বিরত থাকতে বলেছেন, বলা হয়েছে বিবিসি-এর প্রতিবেদনে।
জরিপে আরও দেখা গেছে ১৪ শতাংশের মতে তাদের বাব-মা খাবারের সময়ও মোবাইল ব্যবহার করেন। যদিও ৩০০০ জন বাবা-মায়ের ওপর চালানো পৃথক একটি জরিপে একথা অস্বীকার করেছেন এর ৯৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী।
জরিপে উঠে এসেছে ৮২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন খাবারের সময়টা ডিভাইসহীন হওয়া উচিত। ২২ শতাংশ মনে করছেন মোবাইল ফোনের ব্যবহারে পরিবারে একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আর ৩৬ শতাংশ তাদের বাবা-মাকে মোবাইল ব্যবহার করতে মানা করেছেন।
যেসব ব্যক্তি বাবা-মাকে ফোন ব্যবহারে বিরত থাকতে বলেছেন তাদের মধ্যে ৪৬ শতাংশ বলছেন, ৪৪ শতাংশ ক্ষেত্রে তারা যখন বিষন্ন থাকেন বাবা-মা সেটা খেয়াল করে না এবং এড়িয়ে যান।
এ দিকে মাত্র ১০ শতাংশ বাবা-মা মনে করেন তাদের মোবাইল ব্যবহার সন্তানের জন্য চিন্তার বিষয় হতে পারে। আর ৪৩ শতাংশ মনে করেন নিজের সময়ের বেশিরভাগ সময় তারা অনলাইনের ব্যয় করেন।
নতুন আরেক গবেষণায় দেখা গেছে ৭২ শতাংশ ছাত্র দিনে ১০ ঘন্টা অনলাইনে থাকেন। আর ১১ শতাংশ ছুটির দিন এবং সপ্তাহের শেষে দিনে ১৫ ঘন্টা অনলাইনে কাটান। এ ছাড়া তিন শতাংশ ছাত্র বলছেন ছুটির দিনে অনালাইনে কাটানো সময় ২০ ঘন্টাও হতে পারে।
সন্তান এতো সময় অনলাইনে থাকলেও মাত্র ১০ শতাংশ বাবা-মাকে এ নিয়ে চিন্তিত থাকতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে কেন্ট-এর অ্যাশরড স্কুল-এর প্রধান শিক্ষক এবং এইচএমসি-এর চেয়ারম্যন মাইক বুকানান বলেন, “আমাদের জরিপে দেখা গেছে শিশুরা প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের ঝুঁকি বিষয়ে জানে। কিন্তু তাদের জীবনে প্রাপ্তবয়স্কদের দরকার যাতে তারা স্পষ্ট সীমানা বেঁধে দিতে পারে এবং বুদ্ধিমান আচরণের অনুকরণীয় মডেল হতে পারেন।”