পরকীয়া বহুকাল আগে থেকে সূচনা হলেও বর্তমানে রমরমা। এক ভয়ঙ্কর অপরাধ জন্ম নিয়েছে সমাজে। কেন পরকীয়া- এ নিয়ে গবেষণায় দেখা গেছে, চোখ ও মনের কিছু ভ্রমই সর্বনাশের কারণ।
বেশির ভাগ পুরুষই মনে করেন, তার প্রেমিকা বা স্ত্রীর তুলনায় তার বন্ধুর বা প্রতিবেশীর স্ত্রী বা প্রেমিকা অনেক বেশি আকর্ষণীয়। এ ধারণাই একজন পুরুষকে নিয়ে যায় পরকীয়ায়।
কেন অন্যের প্রেমিকা বা স্ত্রীকে বেশি আকর্ষণীয় মনে হয় তার ব্যাখ্যা আছে। নিজের স্ত্রী বা প্রেমিকার ক্ষেত্রে শারীরিক আকর্ষণ হারিয়ে ফেললেই সেই পুরুষ অন্যের প্রেমিকা বা স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন।
আবার নিজের প্রেমিকা বা স্ত্রীকে বেশির ভাগ সময়ই একঘেঁয়ে বলেও মনে হয়। প্রেমিকা বা স্ত্রী যতই সুন্দরী হোক না কেন পুরুষের মন ধরে রাখতে পারেন না। তাই স্ত্রী বা প্রেমিকাকেই দায়িত্ব নিতে হবে স্বামীর বা প্রেমিকের একঘেঁয়েমি কাটানোর।
এমনও দেখা গেছে, এক দম্পতি দীর্ঘদিন সুখে সংসার করছেন বা প্রেম করছেন। দেখে অনেক পুরুষ ভাবনায় পড়েন। তাদের মনে হতে শুরু হয়, একজন মেয়েকে একজন পুরুষ কীভাবে এতদিন ধরে ভালোবেসে যাচ্ছেন? নিশ্চয়ই তার মধ্যে কিছু রয়েছে।
এরপর বারবারই মনে হতে থাকে ওই নারীর মধ্যে এমন কিছু নিশ্চয়ই আছে, যা তার স্ত্রীর মধ্যে নেই। এভাবেও পরস্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ অনুভব করেন পুরুষরা।
নারীরা সব সময়ই পুরুষের মন জয় করতে চান, এটা স্বভাবজাত। এমনকি বিবাহিত পুরুষদেরও অনেক নারী নিজের ফাঁদে জড়িয়ে ফেলতে চান। অনেক সময় পুরুষ এমন নারীর পাতা ফাঁদেরও শিকার হন।
গবেষণায় এমনও বলা হয়, দেখা গেছে, বেশির ভাগ পুরুষই একটি প্রেম বা বিয়ের সম্পর্কে বেশি দিন থাকতে পারেন না। তারা জীবনভর সম্পর্ক রক্ষা করলেও মনে মনে হাঁপিয়ে ওঠেন। এ ক্ষেত্রে মানসিক ক্লান্তি দূর করতেও অন্য নারীর প্রতি আকৃষ্ট হন পুরুষ।
অনেক সময় স্ত্রী বা প্রেমিকা থেকে প্রত্যাশা পূরণ না হলেও তারা অন্য নারীতে আকৃষ্ট হন। এ ক্ষেত্রে একজন পুরুষ এমন নারীর প্রেমে পড়েন, যারা প্রকৃত জীবনে সুখী।
পুরুষরা দায়বদ্ধতাকে সবচেয়ে বেশি ভয় পান। পরস্ত্রীর সঙ্গে প্রেম করলে দায়বদ্ধতা একেবারেই থাকে না। সেটাও পরস্ত্রীতে আকৃষ্ট হওয়ার আরেকটি বড় কারণ।