লাইফস্টাইল ডেস্ক:খুশকি হলো মাথার ত্বকের একটি সমস্যা। এক্ষেত্রে মৃত ত্বকের কোষ মাথার মধ্যে জমতে থাকে। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ম্যালাসেজিয়া নামক একটি ছত্রাকের অত্যধিক বৃদ্ধির ফলে হয়, যার ফলে চুলকানি এবং জ্বালা হয়।
শুষ্ক ত্বক, তৈলাক্ত মাথার ত্বক এবং ত্বকের কিছু সমস্যার কারণে খুশকি বেড়ে যেতে পারে। সঠিক স্বাস্থ্যবিধি এবং চিকিৎসার মাধ্যমে খুশকি দূর করা সম্ভব। কিন্তু মজার কথা হল, কোনো কোনো খাবার এই সমস্যা বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়। আবার কোনও কোনও খাবারের অভাবেও এটি হতে পারে।
জেনে নেয়া যাক, কোন কোন খাবার নিয়ে কোন কোন অভ্যাস খুশকির পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছে-
ভাজাভুজি এবং মিষ্টি খাবার: অতিরিক্ত চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে তা মাথার ত্বকে উপকারী জীবাণুর ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। পরিশোধিত শর্করা এবং প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার ম্যালাসেজিয়া বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যা খুশকি বাড়িয়ে দেয়। এটি মোকাবিলা করার জন্য চিনিযুক্ত স্ন্যাকস, কোল্ড ড্রিংকস এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন। এসবের পরিবর্তে দানা শস্য, ফল এবং শাকসবজি বেছে নিন।
জিংক এবং ভিটামিন বি’র ঘাটতি: জিংক এবং বি ভিটামিন, বিশেষ করে বি৬, বি৭ এবং বি১২ স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং মাথার ত্বকের কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য। এই পুষ্টির ঘাটতি ত্বকের ফাংশন ব্যাহত করতে পারে এবং খুশকির লক্ষণগুলোকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। আপনার ডায়েটে জিংক-সমৃদ্ধ খাবার যেমন কুমড়ার বীজ, আমন্ড বাদাম, সেইসঙ্গে বি ভিটামিনের উৎস যেমন গোটা শস্য, ডিম এবং শাক-সবজি রাখুন।
পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া: অপর্যাপ্ত পানি খাওয়া ত্বকের ফাংশনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং শুষ্কতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে, যার ফলে মাথার ত্বকে জ্বালা ভাব হতে পারে। রোজ ৩ থেকে ৪লিটার পানি খাওয়া এই কারণে খুব দরকারি।
ওমেগা-৩-এর অভাব: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মাথার ত্বক সহ ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার যেমন চর্বিযুক্ত মাছ, ফ্ল্যাক্সসিড এবং আখরোট ইত্যাদি পর্যাপ্ত না খেলে মাথার ত্বকের শুষ্কতা এবং ফ্ল্যাকিনেস হতে পারে, যা খুশকিকে বাড়িয়ে তোলে। আপনার ডায়েটে ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার যুক্ত করুন। যা খুশকির সমস্যা সমাধানে কাজ করবে।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।