ইসমাইল হোসেন: টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় প্রয়োজনীয় কৃষি শ্রমিকের অভাবে চাষিরা তাদের জমির পাকা ধান কাটতে পারছেন না। বর্তমানে কৃষি শ্রমিকের মজুরি দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এখানে কৃষি শ্রমিকের মজুরি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক জোঁকের উপদ্রপ দেখা দিয়েছে। জোঁকের কামড়ের ভয়ে কৃষি শ্রমিকরা ধান কাটছেন না। এতে বিপাকে পড়েছেন ধানচাষিরা।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে কাকড়াজান ইউনিয়নের ২ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে।
হামিদপুর এলাকার কয়েকজন কৃষক জানান, অধিক মূল্য দিয়েও জমির ধান কাটতে পারছেন না। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন কীটনাশক ওষুধ থাকলে জোঁক নিধনের কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। দেশি নামিদামি বিভিন্ন কোম্পানি থাকলেও তারা জোঁক মারার ওষুধ এখন পর্যন্ত বাজারজাত করেনি। এ বিষয়ে একাধিক কোম্পানির কীটনাশক ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধির কাছে জানতে চাইলে তারা জোঁক নিধনের কোনো ওষুধ নেই বলে জানান।
হামিদপুর গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন বলেন, গত বছর ৪শ’ টাকা হারে শ্রমিক খাটিয়েছিলাম। কিন্তু এবার জোঁকের কারণে ৬শ’ টাকা হারেও ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে পাকা ধানগুলো জমিতেই ঝরে পড়ছে। এদিকে চড়া দাম দিয়েও শ্রমিক না পাওয়ায় অনেক জমির মালিককে দুই পা পলিথিন জাতিয় কাপড় দিয়ে প্যান্ট বানিয়ে ধান কাটতে দেখা গেছে।
তবে হঠাৎ করে ফসলি জমিতে জোঁকের প্রকোপ বাড়ার কারণ হিসেবে মাঠের সরকারি খালগুলো ভরাটকেই দায়ী করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও কৃষকরা। খাল ভরাটের কারণেই বন্ধ হয়ে গেছে পানি নিষ্কাশন।
এ ব্যাপারে কাকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, পাশের সব খাল-নালা ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে জোঁক জমিতে এসেছে। এ কারণে কৃষকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ নিয়ে আমি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।
সখীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম কৃষকদের ডামবুট পরার পরামর্শ দিয়ে বলেন, জমিতে ধান কাটার সময় কৃষকরা পায়ে ডামবুট অথবা পলিথিন মুড়িয়ে নিলে জোঁকের আক্রমণ থেকে কিছুটা রক্ষা পাবেন।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।