এম সাইফুল ইসলাম শাফলু :
টাঙ্গাইলের সখীপুরে জমে উঠেছে স্থায়ী ও অস্থায়ী শতাধিক পশুর হাট। এসব হাটে বিপুল সংখ্যক দেশীয় ও ভারতীয় গরু-মহিষ ও ছাগলের সমাগম ঘটেছে। শনিবার থেকে পুরোদমে এ পশুর হাটগুলোতে ক্রেতা বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সরেজমিন মঙ্গলবার নাকশালা হাটে গিয়ে দেখা গেছে, কেউ পশুর দাম হাকছেন। কেউবা আবার দাম যাচাই-বাচাই করছেন।
কথা হয় একাধিক পশু ব্যবসায়ীর সাথে তাঁরা বলেন, ক্রেতারা দাম ছাড়ছেন না। তাই পশু কিনতে বেগ পোহাতে হচ্ছে। বিক্রেতারা সে অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, ক্রেতারা পশুর সঠিক দামই করছেন না বলেই তারা পশু বিক্রি করতে পারছেন না।
জানা যায়, ঈদুল আজহা কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রায় শতাধিক স্থানে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। এসব বাজারে দেশীয়ভাবে পালিত ও ভারতীয় বিপুল সংখ্যক গরু-ছাগলের সমাগম ঘটছে। দিন দিন এসব হাটে পশুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলার সখীপুর সদর, নাকশালা, বেড়বাড়ী ইয়ারফোর্স বাজার, তক্তারচালা, কামালিয়াচালা, দেওদিঘী, কচুয়া, বহেড়াতৈল, বড়চওনা, কুতুবপুর, কালিদাস হাটসহ প্রায় শতাধিক পশুর হাটে কোরবানির বিপুল পরিমাণ পশুর সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতারা যেমন বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন বিক্রেতারাও তাদের কাঙ্খিত দামের আশায় পশু হাতছাড়া করছেন না। প্রতিটি হাটেই কোনো অপরাধী চক্র যেন অপতৎপরতা চালাতে না পারে সে লক্ষ্যে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহলসহ নজরদারি বৃদ্ধি করেছেন।
নাকশালা বাজারে গরু বিক্রি করতে আসা খামারি মো. নাবাব আলী বলেন, হাটে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার সমাগমই বেশি ঘটছে। ভারতীয় গরু না আসলে এবার গরু বিক্রি করে আমাদের কাঙ্খিত মূল্য পেতাম।
বেড়বাড়ী ইয়ারফোর্স বাজারে গরু কিনতে আসা ক্রেতা মো. কামাল হোসেন বলেন, পশু খামারি তাই পশুর দাম একটু কমেই রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার গরু ছাগলের বাজার সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে গরু ছাগলও রয়েছে পর্যাপ্ত।
উপজেলার সবচেয়ে বড় তক্তারচালা বাজারে গরু বিক্রেতা আবু তালেব মিয়া জানান, গত হাটে একটি গরু নিয়ে এসেছিলাম পাইকাররা দাম করেছিল ১লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। লোকসান হয় বিধায় বাধ্য হয়ে আবার পশুটিকে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলাম। আজ আবার পশুটিকে হাটে নিয়ে এসেছি কিন্তু আজও একই দাম করা হচ্ছে।
শুধু এ উপজেলার নয় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা কৃষক ও খামারিরা এসব হাটে কোরবানির পশু তুলবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওকিল উদ্দিন।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, উপজেলার প্রতিটি পশুর হাটে নিরাপত্তা দিতে আমাদের পুলিশ টহল দিচ্ছেন।