ইসমাইল হোসেন:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক আ. লীগ নেতার ছেলের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে করা মামলার আসামি লিটন আহম্মেদ (৪৩) অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। রোববার দুপুর ১২ টার দিকে টাঙ্গাইল জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করলে বিচারিক হাকিম লিটনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে গত শুক্রবার সখীপুর থানায় উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমানের ছেলে লিটন আহাম্মেদকে (৪৫) একমাত্র আসামি করে মামলা করেন।
প্রসঙ্গগত, এ বছরের ফেব্রয়ারি মাসের শেষের দিকে বিকেল বেলায় মেয়েটি পাশের বাড়ি (১০ গজের মধ্যে) লিটনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে লিটন কৌশলে তাঁর ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়েটির পরনের সব কাপড় খুলে মুঠোফোনে ছবি ও ভিডিও করে। এ ঘটনাটি প্রকাশ করা হলে ভিডিওটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ও বাবা-মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এভাবে লিটন ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। মেয়েটির পরিবার গত ২৩ আগস্ট স্থানীয় একটি ক্লিনিকে মেয়েটির আল্ট্রাসনোগ্রাফি করায়। ওই প্রতিবেদনে মেয়েটি ১৭ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা বলে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, লিটন পুলিশের কাছে ধরা না দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে। আদালতের হাকিম জামিন না মঞ্জুর করে লিটনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।