এম সাইফুল ইসলাম শাফলু:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে ঈদগাহ মাঠে পুরুষ মুসল্লি ও নারী মুসল্লিদের একই সঙ্গে নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। ঈদের দিন সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের দাড়িপাকা মধ্যপাড়া এলাকার ঈদগাহ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে বিবদমান দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও সোমবার বিকালে উভয় পক্ষই সখীপুর থানার সরনাপন্ন হন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের দাড়িপাকা মধ্যপাড়া এলাকায় স্থানীয় ইদ্রিছ আলী খান ব্যক্তি উদ্যোগে বাড়ির পাশে ৩/৪ মাস আগে টিনসেট একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। ওই মসজিদের সামনে গোলা মাঠে ঈদের দিন সকাল ১০টার দিকে কয়েকজন নারী মুসল্লিসহ ২০/২৫ জনের ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করেন। একই সঙ্গে নারী-পুরুষের ঈদের নামাজ পড়ায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হলে বিষয়টি নিয়ে দুটি পক্ষের লোকজনের কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাকি হয়। এক পর্যায়ে মসজিদের নির্মাতা ইদ্রিছ আলী খান ও তার লোকজন লাঠি-সোঁটা নিয়ে প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা চালাতে উদ্যত হলে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দা মীর আমজাদ হোসেন বলেন, বিতর্কিত কর্মকান্ডে ইদ্রিছ আলী খান সমাজচ্যুত। তার নির্মিত মসজিদে প্রতি শুক্রবারও নারী-পুরুষ মিলে জুম্মার নামাজ পড়ানো হয় এবং মুসল্লিরা স্থানীয় নয়, অপরিচিত। আজকের ঈদের নামাজেও যে সকল নারী-পুরুষ নামাজ পড়েছেন তারাও স্থানীয় নয়, অপিরচিত। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন জাফর বলেন, বিষয়টি শুনে তিনি ওই এলাকায় গিয়ে জেনেছেন। তিনিও ওই মসজিদে ঈদের নামাজসহ বিভিন্ন সময় নামাজ আদায়কারী নারী-পুরুষ মুসল্লিরা স্থানীয় নয়, অপরিচিতির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাকছুদুল আলম বলেন, উভয় পক্ষই থানায় এসেছিলেন। প্রতিবাদকারী পক্ষদের কাছ থেকে তিনি ভিডিও ফুটেজ দেখেছেন। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।