সাইফুল ইসলাম শাফলু:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে বনের পাশে ২০টি অবৈধ কয়লা কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় দিন রাত সামাজিক বনায়নের চোরাই কাঠ পুড়িয়ে কয়লা বানানো হচ্ছে। এতে করে উজার হচ্ছে সামাজিক বনায়ন। অপরদিকে কারখানার কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ দুষিত হচ্ছে ছড়াচ্ছে শিশু-বৃদ্ধদের শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ।
সরেজমিন উপজেলার হতেয়া রেঞ্জের কালিদাস বীটের কীর্ত্তণখোলার ধুমখালী গ্রামে ছয়টি, তেঁতুলিয়াচালা গ্রামে পাঁচটি ও কালিয়ানপাড়া গ্রামে পাঁচটি কয়লার কারখানা অবৈধ গড়ে ওঠেছে। কারখানার চুলাগুলো মাটির তৈরি। সামনে স্তুপ দিয়ে রাখা আছে বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ। ছয়-সাতজন শ্রমিক দিনরাত প্রতিটি কারখানায় কাজ করছেন। এতে কাঠ পোড়ানোর চুলা থেকে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে আশ-পাশ। নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু- বৃদ্ধ। হুমকিতে জীব বৈচিত্র। উজাড় করা হচ্ছে সামাজিক বনায়ন। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
কীর্ত্তণখোলা ধুমখালি কয়লা কারখানা মালিক উপজেলার কালমেঘা গ্রামের সাখাওয়াৎ হোসেনের শ্রমিক মো. লেবু মিয়া বলেন, সব দপ্তরকে ম্যানেজ’ করেই কয়লা পোড়ানোর কাজ করা হচ্ছে।
ওই কারখানা থেকে ৫০ গজের মধ্যে আবদুল করিমের বাড়ি। তিনি বলেন, কারখানার কালো ধোঁয়ায় বাড়িতে থাকা যায় না।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসব কারখানায় মেহগনি, আম, কাঁঠাল, সামাজিক বনায়নের আকাশমণি, ইউক্লিপটাস গাছ পুড়িয়ে কয়লা বানানো হয়। সেই কয়লা টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয়। প্রতিবস্তা কয়লা ৮’শ থেকে ১ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়।
কয়লা ব্যবসায়ী দেলোয়ার বলেন , কয়লাগুলো আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করে থাকি।
কালিদাস বিট কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বন আইনে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী সরকার রাখী বলেন, তদন্ত করে ওইসব অবৈধ কয়লা কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।