এম সাইফুল ইসলাম শাফলু : টাঙ্গাইলের সখীপুরে একই পরিবারের সাতজনকে অচেতন করে তিন লক্ষ টাকা, সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার, তিনটি মোবাইল সেট ও একটি হিরার আংকটি লুট করে নিয়ে গেছে ভাঙ্গারির (পরিত্যক্ত মালামাল) ব্যবসা করতে আসা প্রতারক দম্পত্তি। বুধবার রাতে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের মুচারিয়া পাথার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক শামসুল আলম খান ইব্রাহীম (৫৫), তার মা রহিমা বেগম (৮০), স্ত্রী সোনালী আক্তার (৩৬), বড় মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১৪) ছোট মেয়ে সামিয়া আক্তার (১১), ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রিমি আক্তার (১৯) ও কাজের লোক হাশেমকে (৫০) অচেতন অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
জানা যায়, প্রতিদিনের মতো রাতে অন্যান্য খাবারের পর শামসুল আলম খান ইব্রাহীমের মেঝো মেয়ে সাহারা আক্তার ব্যতিত বাড়ির সবাই দুধ দিয়ে ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ওই রাতে ইব্রাহিমের ভাঙ্গারির ব্যবসায়ীর কর্মচারী ইমন ও তার স্ত্রী শান্তা ওই বাড়ির তিন লক্ষ টাকা, সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার, তিনটি মোবাইল সেট ও একটি হিরার আংকটি লুট করে পালিয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে জেগে বাড়ির সবাইকে অচেতন অবস্থায় দেখে ইব্রাহিমের মেঝো মেয়ে সাহারা আক্তার প্রতিবেশীদের ডাক ডাকি করলে পরে স্থানীয়রা তাদেরকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ইব্রাহীমের স্ত্রী সোনালী আক্তার জানায়, গত দুই সাপ্তাহ আগে ইমন ও শান্তা নামের এক দম্পত্তি কাজের সন্ধানে আমাদের এলাকায় আসে। পরে তাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভাঙ্গারি মালামাল ক্রয় করে আমাদের দোকানে বিক্রি করার ব্যবস্থা করে দেই। এবং আমাদের বাড়ির পাশে থাকার ব্যবস্থা করে দেই। এই সুযোগে ওরা মাঝে মধ্যেই আমাদের বাড়িতে আসতো। বুধবার রাতে ওরা আমাদের বাড়িতে এসে দুধের সাথে নেশাজাতীয় দ্র্রব্য মিশিয়ে দিয়ে আমাদের সর্বস্ব লুট করে নিয়ে পালিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে সখীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ. কে সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, এখনো কেউ পুরাপুরি সুস্থ হয়ে উঠেনি। সুস্থ হলে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।