এম সাইফুল ইসলাম শাফলু:
টঙ্গাইলের সখীপুরে বন উজার করে বাড়ি নির্মাণ ও প্লট বিভাজন নিয়ে দুর্নীতিসহ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে কালমেঘা বিট কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। এছাড়া উৎকোচের বিনিময়ে ওই বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকার চালা, পাথারপুর ও বেলতলী এলাকার সামাজিক বনায়নের ভেতরে কয়েকটি নতুন বসতবাড়ি, দেওয়ানপুর মৌজার আড়াই একরের একটি প্লট বিভাজন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে উপজেলার হতেয়া রেঞ্জের কালমেঘা ভিটে দেখা যায়, বন উজার করে ঢাকার চালায় রফিকুল দুইটি, পাথারপুর এলাকায় শামছুল দুইটি ও বেলতলী এলাকায় একটি নতুন করে বসতবাড়ি নির্মান করা হয়েছে। স্থানীয় বিট কর্মকর্তার যোগ সাজস ও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এ সব ঘর দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। এ দিকে একই ভিটের দেওয়ানপুর মৌজার আড়াই একরের পুরাতন ২৭ নম্বরের একটি প্লট বিভাজন নিয়েও ওই বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন প্লটের উপকারভোগী মো. আসাদুজ্জামান লিটন। টাকার বিনিময়ে একটি প্লট ভেঙ্গে তিনটি প্লট করে পুরাতন প্লটের মালিককে বঞ্চিত করা হয়েছে।
প্লট বিভাজনে ভূক্তভোগী আসাদুজ্জামান লিটন বলেন, প্লটে গাছ লাগানোর কথা বলে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন বিট কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। তাঁর চাহিদা পূরন করতে না পারায় আমি প্লটের পুরাতন উপকারভোগী হয়েও আমার নামে কোন প্লট দেওয়া হয়নি। টাকার বিনিময়ে পাশের গ্রামের আলমগীর হোসেনের নামে ওই প্লট দেয়া হয়েছে।
প্লট বরাদ্ধের অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করে কালমেঘা বিট কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বনের জমি দখলকরে যারা ঘর তুলেছেন তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা সহকারী বন সংরক্ষক মো. সাজ্জাদুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।