নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক কলেজছাত্রীকে প্রায় সাত মাস আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে এলাকাবাসী। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় ধর্ষক বাদল মিয়া ওরফে বাদল বাবুর বিচার দাবিতে উপজেলার বাগবেড় এলাকায় স্থানীয় ‘কান্তার পল্লী যুব সমাজ’ নামের একটি সংগঠন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। সখীপুর-সীডস্টোর সড়কের বাগবেড় বাজার এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন শেষে ধর্ষককে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন, বাগবেড় বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সেকান্দার হোসেন, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন, কান্তার পল্লী যুব সমাজ সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বারী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এদিকে, আজ শুক্রবার বিকেল তিনটায় ঢাকা-সখীপুর-গোড়াই সড়কের আমের চারা এলাকায় মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে উপজেলার কাশেম বাজার এলাকাবাসী। হাতীবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, কর্মসূচিতে সখীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত শিকদার, হাতীবান্ধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নরেশ চন্দ্র সরকার, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আহসান মিয়াসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারী-পুরুষ ও শিক্ষার্থী অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের রতনপুর কাশেম বাজার এলাকায় প্রতিবেশী দূর সম্পর্কের চাচা বাদল ওরফে বাদল বাবু পূর্ব পরিকল্পিকভাবে গত ১১ জানুয়ারি ভাতিজি কলেজছাত্রীকে (১৭) ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির পরও ওই কলেজ ছাত্রীর কোন খোঁজ পাননি। অবশেষে গত রবিবার বিকেলে দীর্ঘ ৬ মাস ১৭ দিন পর রতনপুর কাশেম বাজার এলাকায় চাচা বাদল মিয়ার পরিত্যক্ত ঘর থেকে ওই ছাত্রীকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই এলাকার মৃত দরবেশ আলীর ছেলে বাদল মিয়াকে আসামি করে ধর্ষিতার ভাই বাদী হয়ে সখীপুর থানায় অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। ওই কলেজ ছাত্রী ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে গুরুতর আহত অবস্থায় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গাইনী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সখীপুর থানার ওসি মো. মাকসুদুল আলম বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতারের ব্যাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। তাকে খুঁজতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।