ইসমাইল হোসেন,
সৌর বিদ্যুতে জ্বলছে গ্রামীণ সড়ক বাতি। আলোয় আলোকিত করেছে এলাকা। টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার লোকজন এখন বলাবলি করে ‘আগে আছিল আন্ধার অহন ফকফকা।’
উপজেলা প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় সৌর বিদ্যুতের এ সড়ক বাতি বসিয়েছে। সখীপুর উপজেলার ঢাকা-গারোবাজার সড়কের ৩০ কি.মি, সখীপুর-গোপিনপুর সড়কে ১৫ কি.মি সড়ক, উপজেলার প্রতিটি বাজার, গুরুত্বপূর্ণ স্থান, বিভিন্ন রাস্তার মোড়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সামনে প্রায় দুই শতাধিক পয়েন্টে স্টিলের বিশেষ ধরনের সোলার পোলে এ বাতি বসানো হয়েছে।
ঢাকা-গারোবাজার সড়কের ট্রাক চালক শ্রী ধীরেণ চন্দ্র রবিদাস বলেন, এ সড়কের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সোলার প্যানেল বসানোর কারণে ডাকাতির পরিমান কমেছে। তাছাড়া এখন নিরাপদে গাড়ি চালানো যায় ভয় করে না।
ইন্দারজানি বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ডিএম রফিকুল ইসলাম বলেন, এ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেড়িং একটু বেশি। কিন্তু সৌর বিদ্যুতের সোলার বাতি বসানোয় বাজরে বিদ্যুত চলে যাওয়ার পরও আলো থাকে। এতে বাজারের চুরি-ডাকাতি আশষ্কা কম।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এরশাদুল আলম বলেন, সমৃদ্ধ ও বিশাল এ উপজেলার যেখানে মানুষের চলাচল রয়েছে সেই সকল স্থানে সৌর প্যানেলের মাধ্যমে আলো পৌঁছানো হচ্ছে। তাই উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রায় দুই শতাধিক পয়েন্টে স্টিলের বিশেষ ধরনের সোলার পোলে সৌর বিদ্যুতের এ সড়ক বাতি বসানো হয়েছে।
টাঙ্গাইল-০৮(বাসাইল-সখীপুর) আসনের সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আওতায় সড়ক বাতি স্থাপনে বিশেষ উদ্যোগ নেন। আর এরই অঙ্গিকারে এ উপজেলার গ্রামীণ সড়কেও সৌর বিদ্যুত আলো দিচ্ছে। এতে রাতের আঁধারে সৌর বিদ্যুতের আলোয় নিরাপদে মানুষ চলাচল করবে।