এম সাইফুল ইসলাম শাফলু (সখীপুর) :
১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া চলতি জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় সখীপুর উপজেলার ৫ হাজার ২০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৪৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে। এদের মধ্যে অনুপস্থিত ৭৯ জন মেয়ে পরীক্ষার্থীর বাল্য বিয়ের হওয়ার কারণে পরীক্ষায় অনুপস্থিত রয়েছে বলে কেন্দ্রের কেন্দ্র্র সচিব ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
সখীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল কাউয়ুম গফুর বলেন, গ্রামের অসচেতন পরিবারে মেয়েদের কম বয়সে বিয়ে দেওয়া হয়। অভিভাবকদের অসচেতনায় অগোচরে অনেকে মেয়েকেই বাল্য বিয়ে দিয়ে দেন। পরে আর এটি রোধ করার কোন সুযোগ থাকে না।
সখীপুর জেএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ কেবিএম খলিলুর রহমান তালুকদার ও জেডিসি পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব মাওলানা হাবিবুর রহমান জানান, বাল্যবিয়ের কারণে মেয়েএবং দারিদ্রতায় বিদেশ গমণের কারণে ছেলে পরীক্ষার্থীরা অনুপস্থিত রয়েছে। বাল্য বিয়ের কারণে শিক্ষা জীবন থেকে এভাবে ঝরে পড়া খুবই দুঃখজনক, তারা শুধু এ পরীক্ষা নয়, লেখাপড়া থেকেও ঝরে পড়ছে বলে তাঁরা জানান।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, নারী শিক্ষা প্রসারে বাল্য বিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এ বিষয়ে দারিদ্রতা ও অভিভাবকদের সচেতনতার অভাব রয়েছে বলে তিনি জানান।
সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী সরকার রাখী বলেন, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, বিনামূল্যে বই বিতরণসহ সরকার নানা সুযোগ সুবিধা দেওয়ায় পরেও অভিভাবকদের অসচেতনায় বাল্যবিয়ের কারনে লেখাপড়া থেকে ঝরেপড়ছে শিক্ষার্থীরা। শিগগিরই সরকার ও বেসরকারি সংস্থার সচেতনতামূলক নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে বাল্যবিয়ে নিরোধ করা হবে।