এম সাইফুল ইসলাম শাফলু:
মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সখীপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কামারশালার টুংটং আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে। কোরবানি পশুর মাংস বানানোর দা, চাপাতি, কুরাল, ছুরি, চাকু, বটি ইত্যাদি সরঞ্জাম বানাতে ব্যস্ত সময় কাটাছে কামারশালার কারিগররা। সারা বছরের তুলনায় কোরবানীর ঈদের আগ মুহূতে কামারশালার কারিগরদের ব্যস্ততা অনেক গুণ বেড়ে যায়। সরেজমিন উপজেলার বড়চওনা, কচুয়া, কীর্ত্তনখোলা, শালগ্রামপুর, বহেড়াতৈল, তক্তারচালা, কামালিয়ারচালা, নলুয়া, কালিদাশ, হাতিয়া, নাকশালা হাট-বাজারের কামারশালায় কারিগরদের এসব যন্ত্রাংশ তৈরির ব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেছে।
জানা যায়, আধুনিক উৎর্কস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির সাথে ও নানাবিধি সমস্যার কারণে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই কামার শিল্প। আধুনিক প্রযুক্তির কাছে এ শিল্প টিকতে না পেরে বেশীরভাগ কামার পরিবারই তাদের পৈতিক পেশা ছেড়ে পরিবারের অভাব- অনটন ও চাহিদার তাগিতে বিদেশ পারি জমিয়েছেন বা অনেকে আবার অন্য পেশায় চলে গেছেন।
উপজেলার পৌরসভা এলাকার জোয়াহের কামার ( ৪৫) বলেন, পেটের দায়ে এ কাজ করে খাই। তবে সাড়া বছর কাজ-কর্মের ব্যস্ততা তেমন না থাকলেও কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে আমাদের দিন-রাত কাজ করতে হয়। আধুনিক যন্ত্র না বেড়ুলে সাড়া বছরই তাদের হাতে কাজ থাকতো এবং এ শিল্পও টিকে থাকতো বলে তিনি দাবি করেন।
বংকী গ্যাস ফিল্ড চৌরাস্তার স্বপন কামার (৬০) বলেন, এটি আমার বাপ- দাদার মূল পেশা ছিল । তারই ধারাবাহিকতায় আমার জীবনেরও শেষ মুহূর্তে এই পেশা ধরে রেখেছি। সাড়া দিন দা. কাচি, কুড়াল, চাপাতি, ছুরি,বটি, চাকু, তৈরি করে যা আয় হয় তা দিয়েই কোন রকম পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে বেঁচে থাকি। তবে সরকারিভাবে আমাদের সুদ মুক্ত ঋন দিলে এ দেশীয় কামার শিল্প আগের মতো ঘুড়ে দাঁড়াবে বলে তিনি দাবি করেন।