এম সাইফুল ইসলাম শাফলু :
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিদাস গ্রামে দেলোয়ার হোসেনসহ পরপর তিনটি দুম্বার খামার গড়ে উঠেছে। প্রথম অবস্থায় শখের বসে দুম্বা পালন শুরু করলেও এখন তা বাণিজ্যিক চিন্তায় খামারকে আরো প্রসারিত করেছেন তাঁরা।
জানা যায়, কালিদাস উত্তরপাড়া গ্রামের হাজী আবদুল জলিলের ছেলে খামারী দেলোয়ার হোসেন একজন সৌখিন প্রকৃতির মানুষ। ছোটবেলা থেকেই ছাগল ভেড়া, কবুতর হাস মুরগী পালন ছিল তাঁর সখের বিষয়। তিনি সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় দুম্বা খামারে কাজ করেছেন। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ২০১৭ সালের প্রথম দিকে দেলোয়ার হোসেন ৪৫ হাজার টাকায় তিনটি দুম্বা কিনে পালন শুরু করেন। বর্তমানে দেলোয়ার হোসেনের খামারে ছোট বড় ১৩টি দুম্বা রয়েছে। তাঁর দুম্বা খামারে দুইজন শ্রমিক ছাড়াও সাংসারিক কাজের ফাঁকে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী দুম্বা পরিচর্যায় সময় কাটান। দেলোয়ারের দুম্বা খামারে উৎসাহী হয়ে একই গ্রামের উজ্জল মিয়া এবং পার্শ্ববতী চতলবাইদ গ্রামের ধলা মিয়াও দুম্বা পালন শুরু করেছেন। তাদের খামারেও প্রায় অর্ধ শতাধিক দুম্বা রয়েছে।
দুম্বা খামারী দোলোয়ার হোসেন জানান, দুম্বার মাংস খুব সুসাধু। এরা বিভিন্ন গাছের কাচা পাতা, কাচা ঘাস, ছুলা , বাদাম ও ভূষি খেয়ে থাকে। একটি পূর্ন বয়স্ক দুম্বার বাজার মূল্য দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। তাঁর দুম্বা খামার দেখতে আগ্রহীরা প্রতিদিনই দুম্বা পালনের পরামর্শ নিতে ভির করেন বলেও তিনি জানান।
সখীপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওকিল উদ্দিন জানান, দুলাল হোসেনকে দুম্বা পালনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। শুধু দুম্বাই না তাঁর কাছে অনেক উন্নত জাতের কবুতরও রয়েছে যা অত্যন্ত আর্কষণীয় ও মূল্যবান। তাঁর খামারে প্রাণী সম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে নিয়মিত দেখবাল করা হয়।