এম সাইফুল ইসলাম শাফলু:
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়ে অবাধে মাছ শিকার করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজশে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে এক শ্রেনীর অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা এ কাজ করছেন। এতে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তের পাশাপাশি প্রজনন ব্যহত হচ্ছে। স্থানীয়রা মনে করছেন প্রশাসনের নজরদারি বাড়িয়ে অবৈধ ঘের ও কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হলে মাছ ধরা বন্ধ হবে।
জানা যায়, উপজেলার নদ-নদী, খাল-বিলে ঘের ও জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাদের সহযোগিতা করছে প্রভাবশারী একটি মহল। এতে মাছের বংশবৃদ্ধি ব্যহতর পাশাপাশি দেশীয় মাছ হারিয়ে যাচ্ছে।
এক শ্রেনীর অসাধু জেলে নিষিদ্ধ মাছ ধরার কারেন্ট জাল, কাঁথা জাল, শুলশুলি জাল ও বাঁশের ঘের দিয়ে অবাধে মাছ নিধন করছে। বিধিমত মাছের পোনা সংরক্ষণে যেখানে জালের ফাঁস চার ইঞ্চির কম ব্যবহার করা দন্ডনীয় সেখানে ওইসব জালের ফাঁস আধা ইঞ্চি থেকে পৌনে এক ইঞ্চি করে। এতে ভরা মৌসুমেও এ অঞ্চলে মাছের সংকট দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, মৎস্য সংরক্ষণ আইনে যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় বেপরোয়াভাবে নিধন হচ্ছে মা মাছ ও রেণু পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ।
সরেজমিনে উপজেলার হামিদপুর, ইন্দ্রাজানি, বেড়বাড়ি, কালিদাস, পাথারপুর, চাপড়াবিল সহ বিভিন্ন এলাকা গিয়ে দেখা যায়, জলাশয়ে অসাধু জেলে এবং মাছ ব্যবসায়ীরা ওইসব নিষিদ্ধ জাল ও ঘের দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে। এতে শিং, কই, মলা, পুটি, টেংরাসহ জালে এসব মাছের পাশাপাশি অনেক পোনা মাছও আটকা পড়ছে।
উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, মাছ জাতীয় সম্পদ। দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং সবাইকে দেশীয় মাছ রক্ষায় গণসচেতনা বৃদ্ধির আহব্বান জানান।
এ ব্যাপারে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী সরকার রাখী বলেন, খুব দ্রুত ওইসব অসাধু জেলেদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।