নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে বিএনপি নেতার হাতে হামলার শিকার হয়েছে ছাহেরা খাতুন (৩৫) নামের এক নারী। মঙ্গলবার রাতে পৌরশহরের উপজেলা রোডের কেয়াকলি পারটেক্স ফার্নিচারের দোকানে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে ওই বিএনপি নেতা ও তার কর্মচারিরা। হামলার শিকার ওই নারী সখীপুর প্রেসক্লাবের পিয়ন এবং ক্লাবের সামনেই চা-পানের দোকানি। হামলার ঘটনায় বুধবার দুপুরে ছাহেরা খাতুনের বাবা আবদুস ছামাদ হামলাকারী বিএনপি নেতা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আবদুুল করিম, তার ছেলে ও উপজেলা ছাত্রদল নেতা পারভেজ, কর্মচারী রিপন ও নিক্সনকে আসামী করে সখীপুর থানায় মামলা করেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে ছাহেরা খাতুন হাফিজুর নামে তার এক ভাতিজার পাওনা টাকা চাইতে বিএনপি নেতা আবদুল করিমের পৌরশহরের উপজেলা রোডের কেয়াকলি পারটেক্স ফার্নিচারের দোকানে যান। এ সময় কথাকাটাকাটিতে অভিযুক্ত চার ব্যক্তি ছাহেরাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চুলের মুঠি ধরে টানাহেঁচরা করে। এক পর্যায়ে কিল-ঘুষি লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে জখম করে। তার চিৎকারে গুরুতর আহত ছাহেরা খাতুনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাতেই সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বুধবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, তার ডান হাত ভেঙ্গে গেছে। শরীরে মারধরের জখম রয়েছে। ছাহেরা হাসপাতালের বেডে ব্যথায় কাতরাচ্ছে। সে ঘটনার বিচার দাবি করে বলেন, তার তলপেটেসহ গায়ে প্রচন্ড আঘাত করেছে হামলাকারীরা। গরীব মানুষ বলে আমাকে নির্দয়ভাবে মারলো।
এ ব্যাপারে সখীপুর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শাহীনুর আলম বলেন, আহত ছাহেরা খাতুনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মামলার বাদী ছাহেরা খাতুনের বাবা আবদুস সামাদ দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন।
সখীপুর থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম হোসেন বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।