এম সাইফুল ইসলাম শাফলু: সখীপুরে অবৈধ সংযোগে বিদ্যুৎ ব্যবহার করার দায়ে দুলাল হোসেন নামের এক গ্রাহকের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ বিভাগের (পিডিবি) পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। সম্প্রতি ওই মামলাটি বিউবো’র উপজেলা সহকারাী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) জামাত আলী আকন্দ টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ আদালতে দায়ের করেন। এদিকে, গত মঙ্গলবার ওই গ্রাহক অবৈধ সংযোগ ব্যবহারের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে সহকারী প্রকৌশলীর নামে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে মামলা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকরাী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) জামাত আলী আকন্দ বলেন, উপজেলার কচুয়া গ্রামের ব্যবসায়ী দুলাল হোসেন (হিসাব-নম্বর ২৯৩৫/ই, মিটার নম্বর-৪৩৮১১) প্রকৃত মিটার গায়েব করে বৈধ সংযোগের পাশে বাজার থেকে আরেক মিটার ক্রয় করে অবৈধ সংযোগ চালায়। অবৈধ সংযোগে সে অটোচার্জ ও মুরগীর ফার্মে ব্যবহার করায় ৮ মাসে ২লাখ ২১ হাজার ৪২২টাকা জরিমানা করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। ব্যবসায়ী দুলাল হোসেন বলেন, অবৈধ সংযোগ ব্যবহারের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে সহকারী প্রকৌশলীর নামে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে অভিযোগ দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ৮ মাস অবৈধ সংযোগ ব্যবহারের দায়ে জরিমানা ও মামলা করা হয়েছে । কিন্তু আমিতো ৫ মাস ধরে বৈধ সংযোগ নিয়ে পোল্ট্রি ফার্মে বিদ্যুৎ চালাচ্ছি এবং কোনো বকেয়া নেই। প্রকৌশলী এসে অটোচার্জ দেওয়ার অবৈধ মিটারও পান নাই। কোনো রকম সত্যতা যাচাই-বাছাই না করেই সহকারী প্রকৌশলী তার নামে জরিমানা ও মামলা করেছে। মামলাটি যে বিশেষ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে এর উদাহরণ হিসেবে গ্রাহক বলেন, প্রকৌশলী মামলায় উল্লেখ করেছেন গ্রাহকের এলার্টমেন্টের কাগজপত্র না ঘেঁটেই। শুধু মিটার নম্বর উল্লেখ করেছেন, অবৈধ মিটার নম্বর নেই, নাম ও পিতার নাম ভুল, প্রকৃতপক্ষে বাড়ি থেকে ১কিলোমিটার দূরে পোল্ট্রি ফার্মে সংযোগটি চালাই, বাড়িতে অবৈধ সংযোগ চালানোর দায়ে মামলা ও জরিমানা করা হযেছে। মূলত প্রকৌশলীর চাহিদা মত উৎকোচ না পেয়ে আমার নামে হয়রানি ও সাজানো এসব কিছু করা হয়েছে বলে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে সহকারী প্রকৌশলীর নামে মামলা দিয়েছি।