এম সাইফুল ইসলাম শাফলু :
টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রেমিকার বাড়িতে প্রেমিকের দিনভর অনশনের পর নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে অবশেষে ১১ লাখ টাকার কাবিনে ওই বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলার ইন্দারজানী ভাতগড়া গ্রামে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের ইন্দ্রাজানি ভাতগড়া এলাকার প্রবাসী হাবিল উদ্দিনের মেয়ে সুমী আক্তারের (১৬) সঙ্গে একই ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সোয়াইব হোসেনের (১৬) দীর্ঘদিন ধরে মন দেয়া-নেয়া চলছিলো। এক পর্যায়ে বুধবার বিকেলে প্রেমিক সোয়াইব প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে ব্লেট দিয়ে নিজের বুক কেটে রক্তাক্ত অবস্থায় অনশন শুরু করে। অপর দিকে প্রেমিকার দাবি মেনে না নেওয়ায় প্রেমিকা সুমি আক্তারও ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্নহত্যার চেষ্টা করে। পরে ওই প্রেমিক যুগলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় দুই ইউপি সদস্যসহ দুই পরিবারের সমঝোতায় রাত আড়াইটার দিকে কাকড়াজান ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার দ্বারা ১১ লাখ টাকার কাবিনে ( দেনমোহরে) ওই প্রেমিক যুগলের বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করা হয়। আহত প্রেমিক যুগলকে রাতেই চিকিৎসা শেষে বাসর ঘরে দেওয়া হয়। সুমি স্থানীয় মুন্তাজনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবং প্রেমিক সুয়াইব হামিদপুর গণ উচচ বিদ্যালয় এবার এসএসসি পাশ করেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহআলম মিয়া ও ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন ১১ লাখ টাকা কাবিনে ওই বাল্য বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
ছেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, নিজে বাল্য বিয়ের বিরোধীতা করলেও দুটি প্রাণ বাঁচাতে নিজ সন্তানের বাল্যবিয়ের কাবিনে আমাকে সাক্ষর দিতে হয়েছে।