এম সাইফুল ইসলাম শাফলু :
সোমবার দুপুরে ফজিলা আক্তার (১২) নামের এক ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর বাল্য বিয়ে দিচ্ছিলেন অভিভাবকরা। দুপুরে আমন্ত্রিত অতিথিরা খেতেও বসেছিল। এমন সময় বিয়ে বাড়িতে পুলিশ নিয়ে হাজির হন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফিরোজা আক্তার। খাবার ফেলে পালিয়ে যায় অতিথিরা। পন্ড হয়ে যায় বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠান। পরে অভিভাবকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত বয়স না হওয়ার আগে বিয়ে দিতে পারবেনা মুচলেকা নেন ওই কর্মকর্তা । ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালিদাস ফুটানিপাড়া গ্রামে।
জানা যায়, সোমবার দুপুরে উপজেলার কালিদাস ফুটানিবাজার এলাকার ফজলুল হকের মেয়ে কালিদাস কলিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ফজিলা আক্তারের (১২) পার্শ্ববতী কচুয়া গ্রামের এক প্রবাসীর সাথে বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলের অভিভাবকরা। সংবাদ পেয়ে পুলিশ নিয়ে হাজির হন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফিরোজা আক্তার। পুলিশের টের পেয়ে বিয়ের অতিথিরা পালিয়ে যায়। পরে অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ওই বিয়ে প- করে দেন ওই কর্মকর্তা।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফিরোজা আক্তার বলেন, প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দিতে পারবেনা মুচলেকা নিয়ে বাল্যবিয়েটি পন্ড করে দেওয়া হয়েছে।