রবিবার, অক্টোবর ১৩, ২০২৪
Homeজাতীয়সখীপুরে বাড়ছে ‘ব্রাহমা’ জাতের গরু

সখীপুরে বাড়ছে ‘ব্রাহমা’ জাতের গরু

 

এম সাইফুল ইসলাম শাফলু :
টাঙ্গাইলের সখীপুরে বাড়ছে মাংসল ‘ব্রাহমা’ জাতের গরু পালন। এ জাতের মাংসল গরু আমেরিকায় পালন করা হলেও বর্তমানে সখীপুরেও এটি পালন করা হচ্ছে। এ জাতের ষাঁড় মাত্র তিন বছর বয়সে ওজন দাঁড়াবে একটন (২৭ মণ)। আমেরিকা থেকে ব্রাহমা জাতের সিমেন (প্রজনন) সংগ্রহ করে সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জেলা ও উপজেলার খামারি বা কৃষকদের গরু পালনের প্রণোদনা দিচ্ছেন। সখীপুরে যেহারে ব্রাহমা জাতের গরু পালন বাড়ছে তাতে করে উপজেলার মাংসের চাহিদা মিটিয়ে দেশের সিংহ ভাগ মাংসের চাহিদা পূরণ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দেশের মাংসের ঘাটতি দূর করার জন্য ২০০৮ সালে আমেরিকা থেকে উন্নত ব্রাহমা জাতের গরুর সিমেন নিয়ে এসে নির্বাচিত দেশীয় জাতের গাভীকে প্রজনন দিয়ে এই জাতের গরু পালন করা হচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ‘বিফ ক্যাটল ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় এ জাতের গরু উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেন। ক্রমান্নয়ে এ উপজেলায় ২০০ জন খামারিকে নির্বাচন করে পাঁচ শতাধিক গাভীকে প্রজনন দিয়েছেন। এরইমধ্যে ১৫০ টি বাছুর জন্মেছে। দুই থেকে আড়াই বছরের বাছুরের ওজন মিলেছে ৭৪০ থেকে ৭৬০ কেজি। এ জাতের গরু এক বছরের মধ্যে দেশি গরুর চেয়ে তিনগুণ বেশি মাংস বৃদ্ধি ঘটায়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গড়গোবিন্দপুর গ্রামের আখতার হোসেন ব্রাহমা জাতের গরু পালন করছেন। তার দুই বছর চার মাস (২৮মাস) বয়সী ষাঁড় বাছুরটির ওজন হয়েছে ৭৬০ কেজি (১৯ মণ)। তিনি বলেন, ষাঁড়টি খুবই শান্ত স্বভাবের। পড়াশুনার ফাঁকে আমার ছেলে মেয়েরা ওই ষাঁড়ের খাবার-দাবার আর যতেœর পেছনে সময় ব্যয় করেন। তিনি আরোও বলেন, দেশি গরুর মতো এই গরু সবকিছুই খায়। আমার ষাঁড় গরুটি দেখার জন্য প্রায়ই টাঙ্গাইল জেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা ও রাজধানী থেকে মানুষজন আসেন।
ওই গ্রামের নূরুল ইসলামের দুই বছর ৩ মাস (২৭ মাস) বয়সী ষাঁড়ের ওজন হয়েছে ৭৪০ (সাড়ে ১৮ মণ) কেজি। প্রতিমা বংকী গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ষাঁড় গরুর ওজন হয়েছে ৬৮০ (১৭ মণ) কেজি। সানবান্ধা গ্রামের আবদুর রহমান তালুকদারের গরুর ওজন হযেছে ৬৪০ (১৬ মণ) কেজি, সখীপুর পূর্বপাড়া গ্রামের আয়নাল হকের গরুর ওজন হয়েছে ৬৪৫ ( প্রায় ১৭ মণ) কেজি।
এ ব্যাপারে সখীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এসএম উকিল উদ্দিন বলেন, খামারিদের মাঝে ওষুধপত্র, ভ্যাকসিন বিনামূল্যে সরবরাহ করছি। ১৮ মাস পর এই গরুর মাংস খাওয়ার উপযোগী হবে। খামারিরা এই গরু লালন-পালন করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন। ব্রাহমা জাতের গরু পালনে দেশে আমিষের ঘাটতি পূূরণে সহায়ক হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরও জানান, ৩ বছর বয়সী একটন ওজনের ষাঁড় কিংবা বকনা গরু খামারিরা ৪ থেকে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -