নিজস্ব প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিজ বাসায় গরুর শিংয়ের আঘাতে গৃহবধ‚ সালমা বেগমের (৩০) মৃত্যু হওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যা হত্যা মামলা থেকে বাঁচার আকুতি ওই গৃহ বধূর স্বামী রিপন সিকদার মামা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবরের। এ মৃত্যুকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টায় নিহত সালমা বেগমের বড়ভাই ঘটনার চার দিন পর টাঙ্গাইল আদালতে স্বামী রিপন সিকদার, মামা বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন ও ভাড়াটিয়া শিরিন আক্তারকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার পুলিশের তদন্ত ও ময়না তদন্ত রিপোর্টে গরুর শিংয়ের আঘাতে গৃহবধূ নিহত হওয়ার প্রমাণ মিললেও অর্থ আদায়ের উদ্দ্যেশে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক এ মামলা করেছেন নিহতের ভাই রফিকুল ইসলাম।
নিহত গৃহবধূ সালমা বেগমের স্বামী রিপন সিকদার বলেন, ঘটনার সময় আমি ও আমার ছেলে শিহাবকে নিয়ে জুম্মার নামাজে ছিলাম। যার স্বাক্ষী সমাজের ঈমামসহ শতাধিক মুসুল্লী। নামাজ শেষ হলেও শুনতে পারি আমার স্ত্রী গরুর শিংয়ের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। মা বোন ও ভাড়াটিয়ার তাকে সখীপুর হাসপাতালে নিয়ে গেছে। পরে আমি ও আমার ছেলে হাসপাতালে যায়। আমার সমন্দী রফিকুল ইসলামসহ শ্বশুড়-শ্বাশুড়ীও হাসটপাতালে আসেন এবং ময়নাতদন্ত শেষে লাশও দাফন করেন। এ ঘটনার চারদিন পর আমি ও আমার বীরমুক্তিযোদ্ধা মামাসহ তিনজনকে আসামি করে জিআর ১৪৪ হত্যা মামলা দায়ের করেন। যা বর্তমানে টাঙ্গাইল ডিবির কাছে তদন্তাধিন আছে। আমার সমন্দী রফিকুল ইসলাম আমার ছেলের মোবাইলে ফোন করে ২০ লাখ টাকা ও ২০ শতাংশ জমি দাবি করেন। অন্যথায় আমাকে তিনি এ হত্যা মামলায় ফাঁসিতে ঝুলাবেন বলেও জানান। তিনি সম্প্রতি একটি হত্যা মামলায় কারাগারে থেকে ফিরেছেন। এলাকায় একজন মামলা বাজ হিসেবেও তিনি পরিচিত।
নিহত গৃহবধূর ছেলে সিহাব (১৪) বলেন, আমার বাবা নির্দোশ। ঘটনার দিন আমি এবং আমার বাবা মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়ছিলাম। আমার মামা আমার বাবাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসাতে বিভিন্ন সময় মোবাইলে ফোন দিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন টাকা ও জমি দাবি করছেন।
মামলার আসামি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন ও ভাড়াটিয়া শিরিন আক্তার এ মিথ্যে ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অপমৃত্যু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আজিজুল ইসলাম বলেন,লাশের প্রাথমিক সুরতহালে গরুর শিংয়ের আঘাতে ওই গৃহবধূর মৃত্যুর চূড়ান্ত প্রতিবেদন আমরা আদালতে পাঠিয়েছি। পরবর্তী মামলাটি ডিবির কাছে রয়েছে।
প্রসঙ্গত: গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে সালমা বাসায় গরুর ফার্মে কাজ করতে গেলে একটি গরু তার উপর চড়াও হয়। এ সময় ওই গৃহবধূকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।