এম সাইফুল ইসলাম শাফলু :
টাঙ্গাইলের সখীপুরে মেজু আহমেদ (৪৩) হত্যাকান্ডের গ্রেফতারকৃত আসামি সবুজ দেওয়ান (৩০) ব্যবসায়ীক দ্বন্দে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী মেজু আহমেদকে হত্যা করে ড্রামের ভেতর ভরে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের জেষ্ঠ্য বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট রুপম কান্তি দাসের আদালতে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী সবুজ দেওয়ান ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পুলিশ আসামি সবুজ দেওয়ানকে মঙ্গলবার সাভারের আশুলিয়া জামগড়া এলাকা থেকে এবং লাশ বহনকারী পিকআপ চালক মতিউর রহমানকে (৩৫) টাঙ্গাইলের কালিহাতী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। বুধবার তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
এ ব্যাপারে নিহত মেজু আহমেদের স্ত্রী হেনা বেগম বলেন, স্বামীর ব্যবসায়ীক শত্রু সবুজ দেওয়ানকে আমার প্রথমে সন্দেহ হয়। সে সাভারে এলাকায় একজন ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী। সবুজ এর আগেও সে তাঁর স্বামীকে মিথ্যা মামলায়ও জেল খাটাছিল বলে জানায়।
প্রসঙ্গত, গত ২০ আগস্ট দুপুরে মেজু আহমেদ ব্যবসায়িক কাজে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে আশুলিয়ার জামগড়ার বাসা থেকে বের হন। পরে খোঁজ না পেয়ে ওই রাতেই তাঁর স্ত্রী হেনা আক্তার আশুলিয়া থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজের তিন দিন পর গত ২৩ আগস্ট টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার ঢাকা-সাগরদীঘি সড়কের কালিয়া ঘোনারচালা এলাকায় পরে থাকা একটি প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতর অর্ধগলিত মেজু আহমেদের লাশ উদ্ধার করে সখীপুর থানা পুলিশ।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, অচিরেই মেজু আহমেদ হত্যাকান্ডের বাকী আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।