এম সাইফুল ইসলাম শাফলু :
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে ভেজাল, নকল, অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ। সখীপুর পৌরসভা থেকে শুরু করে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে গড়ে ওঠেছে অনুমোদনহীন অসংখ্য ওষুধের দোকান। এসব দোকানে সহজ-সরল রোগীদের ভাল-মন্দ কিছু না বুঝিয়েই মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওইসব ওষুধের মধ্যে রয়েছে অনুমোদনহীন বিভিন্ন বেনামী কোম্পানির যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, সিরাপ,ব্যথানাশক ট্যাবলেট ক্যাপসুল, বলবর্ধক ট্যাবলেট ও সিরাপ। এছাড়া ডিআর (ড্রাগ রেজিস্ট্রেশন) নম্বরবিহীন কৌটাজাত বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সম্পূরক (ফুড সাপ্লিমেন্ট)ওষুধ দেদারসে বিক্রি করা হচ্ছে।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে সখীপুর পৌরশহর ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে একাধিক ওষুধ কোম্পানির (রিপেজেনটিভ) সরবরাহকারীরা জানান, তারা সখীপুর সদর, কালিদাস বাজার, কচুয়া বাজার, কালিয়া বাজার, বড়চওনা বাজার, বেড়বাড়ী বাজার, নাকশালা বাজার, দাড়িয়াপুর জিনের বাজার, বেড়বাড়ী ইয়ারফোর্স বাজার, রতনপুর বাজার, দেওদিঘী বাজার, কুতুবপুর বাজার, তক্তারচালা বাজার. বহেড়াতৈল বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় ওষুধের দোকানে যৌন উত্তেজক, ব্যথানাশক, বলবর্ধক এবং মোটা থেকে চিকন ও চিকন থেকে মোটা হওয়ার ওষুধ সরবরাহ করে থাকেন। এদের বেশিরভাগ ওষুধ চোরাইপথে ভারত, চিন ও মায়ানমার থেকে আসে বলেও তারা জানান। তারা আরও জানান, এ উপজেলায় আরও ১৫ থেকে ২০ জন সেনেগ্রা, বিগোরিন, মনিষ, ইডিগ্রা, নকল ভায়াগ্রা ও নিমোসুলাইডসহ বিভিন্ন অনুমোদনহীন ওষুধ সরবরাহকারী রয়েছেন।
বড়চওনা বাজারের এক ওষুধ ব্যবসায়ী নামে বেনামের বেশ কিছু যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট দেখিয়ে বলেন, এর প্রতিটি ট্যাবলেট পাঁচ টাকায় কিনে রাখি বিক্রি করি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়।
উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ডা. রাফিউল করিম খান বলেন, ভেজাল, নকল, অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রকাশ্যে বিক্রির বিষয়টি উদ্বেগজনক। দীর্ঘদিন ওইসব অনুমোদনহীন ওষুধ কেউ সেবন করলে তাঁর রক্তচাপ বেড়ে যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয় এবং তাঁর কিডনিও বিকল করে দেয়। আবার কেউ চিরদিনের জন্য তার যৌন ক্ষমতাও হারাতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী সরকার রাখী বলেন, অবৈধ ওষুধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।