এম সাইফুল ইসলাম শাফলু :
টাঙ্গাইলের সখীপুরে যৌতুকের দাবিতে ছালেহা আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূকে বাড়িতে দুইদিন আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে মঙ্গলবার বিকেলে ওই গৃহবধূকে পুলিশি সহায়তায় গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলাস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার চাটারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে ছালেহার বাবা আবদুল হামিদ বাদী হয়ে ছালেহার স্বামীসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে সখীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ইন্দারজানি গ্রামের দিন মজুর আবদুল হামিদ মিয়ার মেয়ে ছালেহা আক্তারের সঙ্গে একই এলাকার মাসুম আলীর ছেলে লিটন মিয়ার পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ছালেহার স্বামীকে দিন মজুর বাবা অনেক কষ্টে ৬০ হাজার টাকা দেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে আরও ৬০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে লিটন ও তার পরিবার মিলে প্রায়ই ছালেহার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালাতে থাকে। এ নিয়ে এলাকায় কয়েক দফায় সালিশি বৈঠকও করা হয়। সোমবার সকালে স্বামী লিটন, দেবর রিপন, শ্বশুর মাসুম মিয়া মিলে যৌতুকের দাবিতে পিটিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় দুইদিন ঘরে আটকে রাখে। সংবাদ পেয়ে ছালেহার বাবা পুলিশের সহায়তায় মঙ্গলবার বিকেলে ছালেহাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
ছালেহার বাবা আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, অনেক কষ্টে বিয়ের সময় মেয়ের জামাই লিটনকে ৬০ হাজার টাকা প্রদান করি। পরবর্তীতে আরও টাকার দাবিতে ওই পরিবারের সবাই মিলে আমার মেয়েকে নির্যাতন করে চিকিৎসা না করে দুইদিন আটকে রাখে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন. অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেয়েটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।