এম সাইফুল ইসলাম শাফলুঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুল শিক্ষকের ৩৫ বছর আগে কেনা জমি বেদখলের চেষ্টা চলছে। উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষক আবেদ আলী মানুষের ধারে ধারে ঘুরছেন বিষয়টি সমাধানের জন্য।
তিনি জানান, জমিটি তার বাবা প্রায় ৩৫ বছর আগে কালিহাতী উপজেলার সরিষাআটা গ্রামের আবুবকর সিদ্দিকীর ছেলে প্রফেসর শাহিন ও রাজ্জাক চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছেন। এরপর থেকেই জমিটি দলিল করে দেই দিচ্ছি বলে টালবাহানা করছেন প্রতিপক্ষরা।
সরেজমিনে জানা যায়, হামিদপুর মৌজার ১৪০ শতাংশ ওই জমিটি আয়েন উদ্দিন ওরফে শেবু মিয়া জমির প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে ৩৫ বছর আগে ক্রয় করে। এরপর থেকে জমি দখল বুঝে নিয়ে আবাদ করে আসছিল। এর আগে ওই জমিটি মালিকদের দলিল করে দিতে বললে তারা দেই দিচ্ছি বলে ৩৫ বছর ধরে ঘুরাচ্ছে।
সাবেক ইউপি সদস্য আবুল হোসেন বলেন, রাজ্জাক মিয়া ও শাহিন প্রফেসর শেবু মিয়ার কাছে জমিটি বিক্রি করেছিল। ওই সময় আমাকে সাক্ষী বানিয়েছিল। জমির পুরো টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরে তারা নিজে উপস্থিত থেকে জমি বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু জমিটি দলিল করে দিচ্ছে না। এখন তারা উলটো আবারো টাকা চাচ্ছে। এগুলো প্রতারণা ও বেইমানি ছাড়া কিছুই নয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ ওরফে সামু মিয়া বলেন, জমিটি ক্রয় বিক্রর সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। জমিটি ক্রয় করেছিল কিন্তু তখন দলিল করে দেয়নি। ৩৫ বছর ধরে শেবু মিয়ার দখলেই রয়েছে। জমি দলিল করে দেওয়ার বিষয়ে শেবু মিয়ার সাথে আমরাও অনেক ঘুরেছি জমির মালিকদের পিছে পিছে। কিন্তু তারা জমি দলিল করে দেয়নি।
ইউপি সদস্য শাহজালাল মিয়া বলেন, জমিটি শেবু মিয়া ৩৫ বছর ধরে ভোগ দখল করে আছেন। এখন শুনতেছি জমির মালিকরা দলিল করে দেয়নি। বিষয়টি দুঃখজনক।
বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন বলেন, জমিটি শেবু মিয়া আবুবকর সিদ্দিক চেয়ারম্যানের ছেলেদের কাছ থেকে কিনেছিল কিন্তু দলিল করে দেয়নি। বর্তমানে ওই জমিতে তারা বাদা প্রয়োগের চেষ্টা করতেছে। এই বিষয়ে আমরা কয়েকদফার বসেছিলাম। জমির মালিকরা কোন সমাধানে আসেনি।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক তাইজুল ইসলাম বলেন, জমির মালিকরা এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছে। তদন্ত চলছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন বলেন, শুনেছি জমিটি শেবু মিয়া ক্রয় করেছিল কিন্তু দলিল করেনি। বর্তমানে শেবু মিয়াদের দখলেই রয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা চলছে।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।