এম সাইফুল ইসলাম শাফলু
সারাদেশে সরকার ২ মে থেকে ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযানে নামলেও সখীপুরে এখনো শুরু করা হয়নি। কবে নাগাদ শুরু হবে তাও বলতে পারছেন না উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক। ১৮ মে’র মধ্যে মিল মালিকদের সঙ্গে ধান চাল সংগ্রহে চুক্তি করতে না পারলে অভিযান ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনার কথাও বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা চালকল মালিক সমিতি ও ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার যে দরে ধান চাল কিনতে চান তাতে এ মৌসুমে দেওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে মোটা চালের দামই ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। সরকার সেখানে নির্ধারণ করেছে ৩৪ টাকা। জেনে শুনে লোকসানে কেউ চাল দেবেন না।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবার সখীপুরে ৩৪৫ মেট্রিক টন চাল ক্রয় করার কথা। সরকারের ঘোষণা মতে সারাদেশে ২ মে থেকে ধান চাল সংগ্রহ নেমেছে । কিন্তু সখীপুরে বারবার চিঠি ও মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও ধান চালের বর্তমান বাজারের সঙ্গে সরকারের নির্ধারিত মূল্য কম থাকায় মিল মালিক ও ব্যবসায়ীরা অনাগ্রহ প্রকাশ করছেন। ১৮ মে মধ্যে তাদের সঙ্গে চুক্তি সই করতে না পারলে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হবে।
উপজেলা চাতাল মালিক সমিতির সভাপতি মো. খলিলুর রহমান ওরফে ময়থা খলিল বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় অকাল বন্যায় মোটা ধান পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় ধান চালের দাম বেড়ে গেছে। বর্তমান বাজারের চেয়ে সরকারের নির্ধারিত মূল্য কেজি প্রতি ৬ থেকে ৭ সাত টাকা লসে আছে। কোন মিল মালিকই লসে ধান চাল দেবে না।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. লতিফুর রহমান বলেন, লসে চাল দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় এখনও মিল মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করা সম্ভব হয়নি। সরকারের আপতকালীন মজুদ থেকে বরাদ্দ আনতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।