রবিবার, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
Homeজাতীয়সখীপুরে সাড়ে ১৪ বছর বয়সে ইউপি সদস্য!

সখীপুরে সাড়ে ১৪ বছর বয়সে ইউপি সদস্য!

নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভুয়া জন্মসনদ দাখিল করে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এটি প্রমাণিত হওয়ায় তার শপথগ্রহণ স্থগিত রেখেছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

বিতর্কিত ইউপি সদস্য স্কুলছাত্রী কানিজ ফাতেমা ওই উপজেলার হাতিবান্দা ইউনিয়নের রাজাবাড়ি গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে ও রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মনোনয়নপত্র দাখিলের পর গত ২৮ মার্চ ওই সংরক্ষিত আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শেফালী আক্তার ওই ছাত্রীর মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। একই বিষয়ে ৪ এপ্রিল হতেয়া রাজাবাড়ি গ্রামের আবদুল করিম খান প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর অভিযোগ করেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শেফালী আক্তার জানান, মেয়েটি স্কুলছাত্রী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক জানিয়ে সে সময় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আবেদন করলেও অভিযোগের গুরুত্ব দেয়নি কমিশন। স্কুলছাত্রীর মা এই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করার কারণে মেয়েটিকে মানুষ ভোট দেয়।

অপর অভিযোগকারী আবদুল করিম খান জানান, মেয়েটি অপ্রাপ্তবয়স্ক ও স্কুলছাত্রী হওয়াসহ লেখাপড়া যাতে বন্ধ না হয় এ কারণে তিনি স্কুলছাত্রীর সদস্যপদ বাতিল চেয়ে আবেদন করেছিলেন।

সখীপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, এ অভিযোগে মেয়েটি ও তার বাবার বিরুদ্ধে মামলা হবে। এছাড়াও গত ১৮ মে এক চিঠিতে ওই ছাত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর সাময়িকভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দেন নির্বাচন কমিশনের পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের উপ-পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত ওই ইউপি সদস্য যাতে শপথ গ্রহণ করতে না পারে সেজন্য ২২ মে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মিজানুর রহমান।

হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মোশারফ হোসেন জানান, নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া ওই ছাত্রীর জন্মসনদের সঙ্গে আমাদের কার্যালয়ের সনদের কোনো মিল নেই। তার জন্মসনদ কোথা থেকে নেয়া তা তারা জানে না।

এ প্রসঙ্গে ওই ছাত্রীর বাবা মিজানুর রহমানের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাদের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

তবে স্থানীয় এলাকাবাসীর দেয়া তথ্যে জানা যায়, স্কুলছাত্রী কানিজ ফাতেমা নির্বাচনের পরপরই এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে অন্যত্র সংসার জীবন শুরু করেছে। তাই তাকে আর এলাকায় দেখা যায় না।

উল্লেখ্য, হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য শাহিনুর আক্তার মৃতুবরণ করায় এ ওয়ার্ডের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৬ এপ্রিল। এতে মৃত ইউপি সদস্য শাহিনুর আক্তারের মেয়ে কানিজ ফাতেমা বিজয়ী হয়।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -