শনিবার, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
Homeটাঙ্গাইল জেলাসখিপুরসখীপুরে সুইচ গেটের পানি ছেড়ে দিয়ে মাছ বিক্রি; হতাশায় দুই শতাধিক কৃষক

সখীপুরে সুইচ গেটের পানি ছেড়ে দিয়ে মাছ বিক্রি; হতাশায় দুই শতাধিক কৃষক

নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে সুইচ গেটের পানি ছেড়ে দিয়ে মাছ শিকার করায় ৮শত একর জমির ইরি-বোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, উপজেলার কাকরাজান ইউনিয়নের ইন্দারজানী বাজার সংলগ্ন মাদনা নদীতে ইরি-বোরো আবাদ সুষ্ঠু ভাবে করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড চার বছর আগে একটি সুইচ গেট স্থাপন করে । এ বছর ইরির মৌসুম শুরুর আগেই স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি মান্না তালুকদার, ভাতকুড়া গ্রামের মৃত তাহের আলীর ছেলে মো.আফসার আলী ও সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমীন,ঈমান আলী,রিপন তালুকদার নেতৃত্বে আরো কয়েক জন মিলে রাতের অন্ধকারে টাকার লোভে সুইচ গেটের পানি ছেড়ে দিয়ে মাছ বিক্রি করেন। এতে ওই গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক কৃষকের আসন্ন ইরি-বোরো মৌসুমে আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় কৃষক ডিএম লুৎফর রহমান বলেন, সুইচ গেট স্থাপন হয়েছে চার বছর। কিন্তু প্রতি বছরই প্রভাবশালী সুইচ গেটের সভাপতি সাবেক মেম্বার রুহুল আমিন,ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি মান্না তালুকদার ও আফসার আলীসহ অন্যরা মিলে প্রত্যেক মৌসুমের শুরুতেই পানি ছেড়ে দিয়ে মাছ ধরে বিক্রি করে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেন । কিন্তু পানি ছেড়ে দেওয়ায় বিপাকে আছি আমরা নিরীহ কৃষকরা। মৌসুমের শুরুতেই পড়ে যাই পানির সংকটে ।

কৃষক মোশারফ বলেন, গত বছর ইরির সময়ও পানি ছেড়ে দিয়ে ছিলো পানির অভাবে ফলন ভাল হয়নি। এ বছরও একই রকম করলো। আমাদের এ সমস্যা দেখার কি কেউ নাই?

কৃষক লাভলু বলেন, যাদের এখানে জমি নাই তারা এখানকার কর্মকর্তা। খাল খননের সভাপতি রুহুল আমীন সহ যারা এ অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের সবার কঠিন শাস্তি দাবি করি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আমজাদ বলেন, প্রত্যেক ইরির সময়ে রাতের অন্ধকারে মাছ ধরার উদেশ্যে সুইচ খুলে দেয়। মাছ বিক্রির করে টাকা ভাগাভাগি করে নেন স্থানীয় কয়েক জন। এ সুইচ গেট খুললে উজানের প্রায় ৮ শত একর জমি ইরির চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। পানির অভাবে কৃষক কঠিন বিপদ গামী হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসে জানিয়েছি কোন লাভ হয়নি। নিরহ কৃষকদের যারা ক্ষতি করেছে বা এ ঘটনা সাথে জড়িত যারা তাদের দূত বিচার দাবি করি।

স্থানীয় সেচ প্রকল্প ও সুইচ গেটের সভাপতি রুহুল বলেন, বিষয়টি সম্পর্ণ সত্য নয়।

উপজেলা কৃষি অফিসার ফাইজুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। কৃষকের এ সমস্যা দূত সমাধান করতে উপজেলা সেচ কমিটির সভাতির সঙ্গে কথা হচ্ছে।

উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী সরকার রাখী বলেন, অভিযোগ পেলে সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -