এম সাইফুল ইসলাম শাফলু: টাঙ্গাইলের সখীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় সাদিয়া আফরিন (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় ঢাকা-সখীপুর-সাগরদিঘী সড়কের বড়চওনা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধ কর্মসূচি পালন করছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার সকাল ১০ টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। অবরোধ করায় এ সড়কের দুই পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। অবরোধকারীরা এ দুর্ঘটনার প্রতিবাদে ও ঘাতক পিকআপ চালকের ফাঁসির দাবিতে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ ঘাতকের ফাঁসি চাই স্লোগানে মুখরিত রাখছে কর্মসূচিস্থল। কর্মসূচি আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতশত শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছেন। এ সময় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসেন খান, টাঙ্গাইল সদর সার্কেল এএসপি মনিরুল ইসলাম, সখীপুর থানার ওসি এসএম তুহীন আলী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ছবুর রেজা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম কামরুল হাসান বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের সাদিয়া আফরিন হত্যাকারী পি-ক্যাপ চালক ও গাড়ীর মালিকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বড়চওনা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আফরিন ঢাকা-সখীপুর-সাগরদিঘী সড়কের বেলতলী বাজার এলাকায় রাস্তার পাশ দিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়িতে ফেরার সময় বেপরোয়া গতিতে আসা একটি পিকআপ তাকে ধাক্কা দিলে সে গুরুতর আহত হন। পরে মুমূর্ষূ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদিয়াকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। নিহত সাদিয়া উপজেলার বড়চওনা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী ও বেলতলী গ্রামের আজহারুল হকের মেয়ে। সাদিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তার সহপাঠী ও এলাকাবাসী। তারা ঘটনার পরপরই ‘নিরাপদ সড়ক চাই!’ দুর্ঘটনার বিচার চাইসহ নানা স্লোগান দিয়ে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে তারা। সাদিয়ার মৃত্যুতে তার পরিবার,বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।