এম সাইফুল ইসলাম শাফলু :
টাঙ্গাইলের সখীপুরে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে ১৪ মৌজার আরএস খতিয়ানের খাজনা নেওয়া না হলে সখীপুর ভূমি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক বন্ধ করে অবরোধ করার কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে ওই কমিটি সখীপুরে হরতাল-অবরোধ কমসূচিও পালন করে। সর্বশেষ ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও রাজধানীর গুলিস্তান নাট্যমঞ্চে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করেন। গণঅনশন কর্মসূচিতে তৎকালীন ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছিলেন।
আন্দোলন কমিটির সভাপতি জুলফিকার হায়দার কামাল লেবু’র সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংসদ অনুপম শাহজাহান জয়, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শওকত শিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদ, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম ও গণি, সখীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাকিল আনোয়ার, সখীপুর ভূমি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হকসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ভূক্তভুগি জমি মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, জমিদারি প্রথা উচ্ছেদের পর ওইসব জমি ১৯৫৬-৬২ সালে ভূমি মালিকদের নামে এসএ (স্টেট একুইজেশন) ও ১৯৭৬-১৯৮৫ সালে আরএস (রিভিশনাল সার্ভে) রেকর্ড লিপিত হয়। বিধি অনুযায়ী আরএস রেকর্ড লিপিত হওয়ার পর ভূমি মালিকরা তাদের জমির নকশা ও পরচা হাতে পায়। নিয়মানুযায়ী গেজেটভূক্ত হওয়ার পর খাজনা আদায়ের জন্য প্রথমে সম্পন্ন হওয়া ওই ১৪টি মৌজা হতে আটটি মৌজার ভলিউম সখীপুর ভূমি অফিসে পাঠানো হয়। কিন্তু ওই সময় স্থানীয় বন বিভাগ বিধিবর্হিভূতভাবে ওই রেকর্ডের ওপর আপত্তি দিলে খাজনা আদায় বন্ধ করে আরএস রেকর্ডের কার্যক্রম বন্ধ রাখেন। এরপর থেকে ওই ১৪টি মৌজায় এসএ রেকর্ডের খাজনা ও নামজারি বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে নতুন আরএস রেকর্ডের কার্যক্রমও চালু করছে না স্থানীয় ভূমি কর্তৃপক্ষ। ফলে ভূমি মালিকরা তাদের প্রকৃত মালিকানা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ওইসব জমি ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে হস্তান্তর হচ্ছে।
সখীপুর ভূমি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সম্পাদক এনামুল হক বলেন, এসএ বা আরএস রেকর্ডও আমাদের পূর্বপুরুষদের নামে। তবুও বনভিাগের বিধিবহির্ভূত আপত্তির কারণে দলিল রেজিস্ট্রিসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফা সিদ্দিকা বলেন, প্রতিবেদন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হলেও খাজনা নেওয়ার বিষয়ে এখনও কোনো নির্দেশনা পাইনি।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।