শনিবার, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫
Homeজাতীয়সখীপুরে ৩৭ কমিউনিটি ক্লিনিকে গত দুই মাস ধরে কোন ওষুধ নেই

সখীপুরে ৩৭ কমিউনিটি ক্লিনিকে গত দুই মাস ধরে কোন ওষুধ নেই

এম সাইফুল ইসলাম শাফলু :টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার ৩৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রায় দুই মাস ধরে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ নেই। ফলে দুস্থ রোগীরা ওষুধ না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। চিকিৎসা সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ জনগণ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছাতে গ্রামীণ পর্যায়ে এ উপজেলাতে ৩৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছেন সরকার। সেখান থেকে বিনা খরচে চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হয় রোগীদের। কিন্তু ওইসব কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে প্রায় ২মাস ধরে ওষধ সরবরাহ সংকট থাকায় চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

ওইসব ক্লিনিকগুলোতে দায়িত্বে থাকা কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রভাইডারদের (সিএইচসিপি) অভিযোগ, প্রায় দুই মাস ধরে কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। তবু সকাল নয়টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত ক্লিনিক খুলে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হয়। এতে ওষুধ না পেয়ে রোগীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন।

সরেজমিনে উপজেলার বাসার-চালা কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, ক্লিনিকের সামনে ৮-১০জন রোগী ওষুধ নিতে দাঁড়িয়ে আছেন। ক্লিনিকের দায়িত্বরত প্রভাইডার শাহেদ ইমরান লতিফ এ সময় কক্ষ থেকে বেরিয়ে তাঁদের উদ্দেশে বলেন, ‘সবাই যার-যার বাড়ি চলে যান। এখানে ওষুধ নেই। এ সময় সেবা নিতে আসা সাড়াশিয়া গ্রামের কুলছুম বেগম (৫৫) ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘সরকার যদি ঔষধে না দেয়, তা হইলে ক্লিনিক খুলছুইন ক্যান?’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএইচসিপি শাহেদ ইমরান লতিফ বলেন, ক্লিনিকে প্রায় ২ মাস যাবত কোন ঔষধ নেই। যে কারণে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের ফিরে যেতে হচ্ছে ঔষধ না নিয়েই। তিনি আরও বলেন, ঔষধ থাকাবস্থায় দৈনিক ৬০-৭০ জন রোগীকে সেবা দিয়েছি আর এখন ১০-১৫ জন রোগীকে সেবা দিতেই মুশকিল হয়ে পড়েছে। খুংগারচালা কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে সেটি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়।

কথা হয় চিকিৎসা নিতে আসা ওই এলাকার নওশের আলীর (৬৫) সাথে। তিনি অভিযোগ করেন, ‘ক্লিনিকটি প্রায় দিনই বন্ধ থাকে। হঠাৎ কোনো দিন খোলা থাকলেও ওষুধ পাই না।’

এ বিষয়ে গড়বাড়ি ও কচুয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি আতিক হোসেন ও এসএম রওশন জলিল এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন- ওষুধ না থাকার সমস্য রোগীরা বুঝতে চান না। অনেক রোগীই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারপরও চুপচাপ বসে থাকি। সিসি’তে ঔষধ না থাকায় রোগীদের সেবা দিতে পারছি না। এ দিকে ওষুধ না থাকলেও সকাল নয়টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত ক্লিনিক খুলে বসে থাকতে হচ্ছে আমাদের।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাফিউল করিম খান জানান, ওষুধের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এখনো ওষুধ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -