এম সাইফুল ইসলাম শাফলু:
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বড়চওনা বাজার থেকে ‘বড়চওনা-নামদারপুর’ রাস্তাটি মাত্র ৩ কিলোমিটার পাকা না হওয়ায় ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ফলে কৃষক তাদের ফসল ঠিকমত ঘরে তোলতে পারছেন না। ওই গ্রামের শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজে নিয়মিত যাতায়াত করতে পারচ্ছেন না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের বড়চওনা-নামদারপুর রাস্তা দিয়ে বড়চওনা, শুকনার ছিট, বিন্নরীপাড়া, চারবাইদা, সুলতান নগর, খালিয়ার বাইদ, আবেদ নগর, ইকুরিয়া পাড়া, ঘোনা বাড়ি, নামদারপুর এলাকার মানুষ প্রতিনিয়ত চলাচল করে। ওইসব এলাকার কৃষকরা কৃষিপণ্যসহ বেকার যুবকরা গড়ে তুলেছেন ২ শতাধিক ব্রয়লার-লেয়ার পোল্ট্রি ও গরুর খামার। ওই এলাকার আবাদকৃত মালামাল কেনা-বেচা এবং খামারীরা ডিম বিক্রি ও খাদ্য ক্রয়ের জন্য যোগাযোগের এটাই একমাত্র রাস্তা। এছাড়া ওই রাস্তা দিয়ে নামদার পুর ফাজিল মাদ্রাসা, বড়চওনা উচ্চ বিদ্যালয়, বড়চওনা-কুতুবপুর কলেজসহ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত চলাচল করেন। কিন্তু ওই রাস্তাটি দীর্ঘ দিনেও পাকা না হওয়ায় স্থানীয়রা কোন সুফল ভোগ করতে পারছে না। উল্টো বর্ষায় কর্দমাক্ত রাস্তায় চলাচল করাই দায় হয়ে পড়েছে স্থানীয়দের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীরা কাঁদায় নেমে সিএনজি অটোরিক্সা ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা হাঁটু পর্যন্ত কাপড় ভাঁজ করে এক হাতে বই আরেক হাতে জুতা নিয়ে স্কুল-কলেজে যাচ্ছেন। মাঝে মধ্যেই শিক্ষার্থীদে পাঁ কাঁদায় পিছলে বই খাতা ও জামা কাপড় নষ্টও হচ্ছে।
ওই রাস্তায় চলাচলকারী সবুজ মিয়া বলেন, রাস্তাটির অবস্থা খারাপ হওয়ায় ১০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা দিতে হয়।
এ বিষয়ে ওই রাস্তা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আ. হালিম মিয়া বলেন, রাস্তাটি দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার-হাজার লোক চলাচল করে। তাই এলাকার স্বার্থে রাস্তাটি দ্রুত পাকা করা দরকার।
উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ কদ্দুস বলেন, ইতি মধ্যেই রাস্তাটি ১ কিলোমিটার টেন্ডার হয়েছে। বর্ষার পরেই কাজ ধরা হবে। পর্যায়ক্রমে বাকী রাস্তাটি পাকাকরনের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।