এম সাইফুল ইসলাম শাফলু :
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ৫ চিকিৎসককে বিনা ছুটিতে হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে সোকজ (কারণ দশানোর নোটিশ) করেছে জেলা সিভিল সার্জন ডা. শরীফ হোসেন খান। শুক্রবার দুপুরে হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে আগের দিন বৃহস্পতিবার অনুপস্থিত থাকা গাইনী কনসালটেন্ট ডা. তাজমিরা সুলতানা, অর্থোপেডিক সার্জারী ডা. শামসুল হক, মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. রাজিয়া সুলতানা, ডেন্টাল সার্জন ডা. মুখলেছুর রহমান এবং মেডিকেল অফিসার ডা. অপু সাহাকে বিনা ছুটিতে হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে সোকজ (কারণ দশানোর নোটিশ) করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী বলেন, বেশির ভাগ চিকিৎসকই বিনা কারণে হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকেন। সকাল ৮ টা থেকে বিকেলে আড়াই টা পর্যন্ত কর্তব্যরত চিকিৎসকদের হাসপাতালের রোগীদের সেবা দানে ব্যস্ত থাকার কথা থাকলেও চিকিৎসকরা সকাল ১০ টায় আসেন আবার দুপুর ১২ টা থেকে সাড়ে ১২ টার মধ্যে চলে যান। আবার অনেকে হাজিরা দিয়েই বাইরের ক্লিনিকগুলোতে রোগী দেখতে চলে যান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ১০ জন কনসালটেন্ট থাকার কথা থাকলেও এখানে চর্ম ও যৌন, গাইণী, শিশু রোগ, মেডিসিন, অর্থোপেডিক ও হৃদরোগ কনসালটেনন্ট রয়েছেন। আরো ৪ কনসালটেন্ট চক্ষু রোগ, নাক কান গলা, অজ্ঞান ও জেনারেল সার্জন পদ দীর্ঘদিন ধরেই শূণ্য রয়েছে। এদের মধ্যে শিশু কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ডা. জাহাঙ্গীর আলম সখীপুরে না বসে ডেপুটেশন (প্রষণ) হিসেবে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বসেন। এতে করে নানা রোগে আক্রান্ত সখীপুরের শিশুরা তাদের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
নোটিশ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে ডা. তাজমিরা সুলতানা বলেন, হাসপাতালে অনুপস্থিতির বিষয়ে সিভিল সার্জন নোটিশ করলে আমরা তার উত্তরপত্র জমা দিয়েছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাফিউল করিম খান বলেন, অচিরেই অনিয়মিত চিকিৎসকদের নিয়মিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।