এম সাইফুল ইসলাম শাফলু :
টাঙ্গাইলের সখীপুরে পুরাতন পৌরসভা কার্যালয় চত্বরে অবস্থিত পৌরসভার একমাত্র গণ শৌচারগারটি পাঁচ মাস ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষ দিকে কোনো কারণ ছাড়াই তত্ত্বাবধায়ককে সরিয়ে দিয়ে সেখানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ফলে দিনের বেলায় পৌরশহরে বাজার করতে আসা নানা শ্রেণি-পেশার লোকজনকে দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে। অন্যদিকে রাতের বেলায় বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও জন সাধারণ বাধ্য হয়ে যেখানে- সেখানে মলমূত্র ত্যাগ করছেন। এতে করে পৌর শহরসহ বাজারের আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ওই গণশৌচাগারটি খুলে দিতে বুধবার সকালে সখীপুর বাজার বণিক সমিতির একটি প্রতিনিধি দল পৌরসভার মেয়রের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে জানা গেছে।
সখীপুর পৌরসভা ও বাজার বণিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, সখীপুর বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের মলমূত্র ত্যাগের সুবিধার জন্য ২০০৯ সালে তৎকালীন সময়ের সাংসদ প্রয়াত শওকত মোমেন শাহজাহান পুরাতন পৌরসভা কার্যালয় চত্বরে দোতলা ভবন তৈরি করে নিচতলায় দোকান বরাদ্দ ও দোতলায় পাঁচটি শৌচাগার (টয়লেট) নির্মাণ করে দেন। এরপর থেকে সখীপুর পৌরসভা ওই শৌচাগারটি দেখভাল করার জন্য একজন তত্ত্বাবধায়কও নিয়োগ দেয়। চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে সংস্কার করার কথা বলে তত্ত্বাবধায়ককে সরিয়ে দিয়ে ওই শৌচাগারটিতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
শৌচাগারের পাশের চায়ের দোকানদার সুজন মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ওই টয়লেট বন্ধ থাকায় ক্রেতাসহ আমরা খুবই সমস্যায় আছি।
সখীপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি তাহেরুল ইসলাম বলেন, ওই শৌচাগারটিতে তালা থাকায় জনসাধারণ মাঝে মধ্যেই বিপদে পড়েন। ওই শৌচাগারটি খুলে দিতে বুধবার পৌরসভার মেয়রের কার্যালয়ে গিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।
পৌর মেয়র আবু হানিফ আজাদ বলেন, অপরিকল্পিতভাবে ওই শৌচাগারটি নির্মিত হওয়ায় ১ সপ্তাহই ট্র্যাংকিটি ভরে যায়। ফলে অনেক টাকা খরচ হয়। ট্র্যাংকি বড় করে নির্মাণ করার লক্ষে ওই শৌচাগারটি তালাবদ্ধ রাখা হয়েছে। কাজ শেষ হলেই ওই শৌচাগারটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।