সখীপুর (টাঙ্গাইল) থেকে এম সাইফুল ইসলাম শাফলুঃ টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ্যডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাসাইল-সখীপুরের দৃশ্যমান বহুমুখী উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। তিনি তাঁর আমলে বাসাইল-সখীপুর সংসদীয় আসনের দুই উপজেলায় এলজিইডি প্রকৌশল অধিদপ্তর ও প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তর থেকে ১৮০০ কোটিরও বেশি টাকার উন্নয়ন করেছেন । সম্প্রতি জাতীয় ও স্থানীয় সরকার দিবস উন্নয়ন মেলায় দুই উপজেলার এসব উন্নয়নের তথ্য পাওয়া যায়।
ওই দুই উপজেলা প্রকৌশলীদের তথ্যে জানাযায়, সখীপুরে ১টি পৌরসভা, ১০টি ইউনিয়ন, বাসাইলে ১টি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন আফিসসহ বিভিন্ন সরকারি অধিদপ্তরের মাধ্যমে গত পৌনে ৫ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
এর মধ্যে উপজেলা প্রকৌশল (এলজিইডি) অধিদপ্তর, প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরের মাধ্যমে রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কার, কালভার্ট-ব্রিজ নির্মাণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন খাদে উন্নয়নমূলক কাজে সরকারের ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এসব উন্নয়নের তথ্য নিশ্চিত করেছেন সখীপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আবদুল বাছেদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার চৌধুরী, বাসাইল উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আবদুল জলিল ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় চলমান প্রকল্প ঘুরে দেখা যায় উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ও প্রকল্প বাস্তবায়ন ( পিআইও) দপ্তরের মাধ্যমে যে সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে নতুন নতুন সড়ক বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিল্ডিং সহ এ দুই উপজেলায় গ্রামীণ জনপদের দৃশ্য একেবারেই বদলে গেছে। এ সব রাস্তা নতুন ভবন পেয়ে দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকা সাধারণ মানুষ আনন্দিত বলে জানা গেছে। এ এলাকার সাধারণ জনগণ যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়েছে। তাদের চাওয়া গুলো বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আ্যডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম ভিপি জোয়াহের কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
দুই উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশল অধিদপ্তর, পিআইও (প্রকল্প বাস্তবায়ন) দপ্তরের কার্যালয় থেকে আরো জানা যায়, বাসাইল-সখীপুরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উন্নয়ন কাজ শেষ হয়েছে। উল্লেখযোগ্য ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ভাতকুড়া-বাসাইল সড়ক, প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সখীপুর-বাটাজোড় ১৮ ফুট প্রশস্ত পুনর্বাসন সড়ক, ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নলুয়া-বাসাইল সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে বহেড়াতৈল-রতনগঞ্জ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প ও বিভিন্ন প্রকল্প থেকে ৩২০ কোটি টাকার সড়ক নির্মাণ, টাঙ্গাইল প্রজেক্টের মাধ্যমে সড়ক ও ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে ১২০ কোটি টাকার, ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮০টি সড়ক মেরামত, ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮০টি বক্সকালভার্ট নির্মাণ ও ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০টি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। কাবিখা, কাবিটা বরাদ্দের মাধ্যমে এইচবিবি করণ এবং ইটসোলিং রাস্তার উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৭৫০টি সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন, ৩২০টি মসজিদ ও ১৭৫টি মন্দির-শ্মশানে সংস্কার কাজ করা হয়েছে।
এছাড়াও ৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তি, ৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৫টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসার নতুন ভবন নির্মাণ, ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৭টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০টি স্কুলের ভবন মেরামত এবং বিভিন্ন ইউনিয়নে ২ হাজার ১১৮টি গভীর নলকূপ স্থাপন বাবদ ব্যয় হয়েছে ১৬.১৬ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ২৮৩টি টিনশেড ও ১০০টি টিনের ঘর প্রদান করা হয়েছে। সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হয়েছে ১২ হাজার ৮৪৩ জন উপকারভোগীদের
সখীপুর উপজেলার সাধারণ মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ১৫ বছরে সখীপুর উপজেলায় অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পৃথক তিনটি সাব-স্টেশান চালু করায় শতভাগ বিদ্যুতায়নসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাকা ভবন নির্মাণ এবং অজপাড়া গায়ে অনেক রাস্তা পাকাকরণ করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের আমলে উন্নয়ন বেশি হয়েছে । তাঁর নিরলস পরিশ্রম ও সঠিক সিদ্ধান্ত ও দক্ষতার কারণে। এসব উন্নয়নে সখীপুরের বিভিন্ন পরিবহন মালিক, চালক, ব্যবসায়ী , কৃষক, শিক্ষক মহলসহ সর্বস্তরের জনগণের হয়ে ইতিবাচক মন্তব্য পাওয়া যায়।
এসব উন্নয়ন বিষয়ে সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান আতোয়ার বলেন, সখীপুর উপজেলার সকল এলাকার রাস্তা-ঘাট ব্রিজ কালভার্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভবন নির্মাণ সহ ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এতে করে এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ্যডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, বাসাইল-সখীপুরের সাধারণ মানুষের চাহিদা বিবেচনা করে তিনি একের-পর এক উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। বর্তমানে এই দুই উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নসহ পাকা রাস্তা কিংবা স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এত উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে মানবতার মা বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য ।
তিনি বলেন, টাঙ্গাইলের বহুমুখী উন্নয়নের জন্য ‘টাঙ্গাইল প্রজেক্ট’ করা হয়েছে। আমার নির্বাচনী এলাকা বাসাইল-সখীপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে দেখছি যে সব এলাকায় রাস্তা-ব্রিজ কালভার্ট আরও প্রয়োজন রয়েছে সেসব এলাকা ‘টাঙ্গাইল প্রজেক্টে’ যুক্ত করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সেগুলো টেন্ডার চলে যাচ্ছে। অনেক রাস্তা-ব্রিজের কালভার্টের কাজ চলমান রয়েছে।
ইতিমধ্যে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই-হাটুভাঙ্গা ভায়া সখীপুর-সাগরদিঘী-মধুপুর ৭৬ কিলোমিটার সড়কটি চার লেনে উন্নীত করণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই সড়কটি চার লেনে উন্নীত হলে এঅঞ্চলের সর্ব বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের সংযোগ হবে এবং জীবনযাত্রার মান আরো বৃদ্ধি পাবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মানবতার মা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা আছেন বলেই এত উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে।
আমি শেখ হাসিনার একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে এবং এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আবারও আমাকেই নৌকা প্রতীক দিবেন বলে আমার একান্ত বিশ্বাস। সেই সাথে তিনি আবারও আওয়ামী লীগ কে ক্ষমতায় আনার জন্য নৌকা প্রতীকে সবাইকে ভোট দেওয়ার আহবান জানান ।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন
-
"নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল
SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।