এম সাইফুল ইসলাম শাফলু:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে সখীপুর থানায় ধর্ষণের মামলা করেছেন। এদিকে গতকাল সকালে এ বিষয়টি মিমাংসার জন্য সখীপুর পৌরসভার নিকাহ্ রেজিস্ট্রার (কাজি) শফিউল ইসলাম ওরফে কাজি বাদলের কার্যালয়ে সালিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মেয়েটি স্থানীয় একটি কলেজের স্নাতক শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্রী। শাহীন খানের বাড়ি সখীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে।
মামলার বাদী ও সালিশি বৈঠক সূত্রে জানা যায়, শাহীন খান মেয়েটির সম্পর্কে খালাত ভাই-বোন। ২০১৪ সালে এসএসসি পাশ করার পর তাদের দুই পরিবারের মধ্যে শাহীন ও মেয়েটির সঙ্গে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর থেকে শাহীন ও মেয়েটির মধ্যে প্রথমে প্রেম ও পরে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক নিয়ে শাহীনের অনেক স্বজনদের বাড়িতেও গিয়েছে মেয়েটি। শাহীন খানের বাবা লিয়াকত হোসেন খান ওরফে জাকু খান তাকে তার ছেলের বউ হিসেবে মেনে নিয়েছেন বলে মেয়েটি জানায়। মেয়েটি আরও জানায়, ওই সময় বিয়ের বয়স না হওয়ায় তাদের বিয়েটি রেজিস্ট্রি (কাবিন) করা হয়নি। বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে গত এক মাস আগে বিয়ের প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনাকালে একটি কথা নিয়ে বিতর্ক হলে শাহীনের সঙ্গে তার যোগাযোগ বন্ধ করে দেন শাহীনের বাবা। সালিশে তাদের পূর্বের সব সম্পর্কই অস্বীকার করেন শাহীনের পরিবার। ওই বৈঠকে তাদের অপমান করা হয়েছেবলেও মেয়েটি থানায় জানিয়েছে। পরে ওই সালিশি বৈঠক ত্যাগ করে চলে এসেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহীন খান এ প্রতিবেদকের কাছে কোনো মন্তব্য করেননি।
সখীপুর পৌরসভার নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) ও উপজেলা কাজি সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিউল ইসলাম বাদল সালিশি বৈঠকের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি মিমাংসার জন্য বসা হলেও দুই পক্ষের বিপরীত অবস্থান থাকায় সমাধান করা সম্ভব হয়নি। ওই বৈঠকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিনসহ স্থানীয় মাতাব্বররা উপস্থিত ছিলেন।
শাহীন খানের বাবা লিয়াকত আলী খান ওরফে জাকু খান জানান, আমার ছেলের বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ সত্য নয়।
সখীপুর থানার ওসি মাকছুদুল আলম বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে লিখিত পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।