দেশের সড়কগুলোয় প্রাণহানি আর অঙ্গহানি নিত্যদিনের ঘটনা। প্রতিদিনই ১০ থেকে ১২ জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। প্রতিটি দুর্ঘটনা ঝলমলে আনন্দময় সংসারে নিয়ে আসে অন্ধকার।
আমাদের মনে হয় না, এই দুর্ঘটনাগুলোর অধিকাংশের কারণ আমাদের আজানা। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক নিয়োগ, নিয়ম ভঙ্গ করে ওভারলোডিং, চালককে দিয়ে দীর্ঘক্ষণ বিরামহীনভাবে গাড়ি চালানো, ট্রাফিক আইন যথাযথ অনুসরণ না করা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব ও অযান্ত্রিক অনুমোদনহীন যানবাহনের দৌরাত্ম্য ও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক ও বেহাল সড়ক।
প্রতিটি সমস্যার সমাধান আছে। এমনকি সড়কপথে দুর্ঘটনারও। সুতরাং সড়কপথে দুর্ঘটনা রোধে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
১. সর্বপ্রথম সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সচেতন হলেই ৮০ ভাগ দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
২. ফিটনেসবিহীন লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি রাস্তায় নামানো বন্ধ করতে হবে।
৩. বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য ভারী পর্যায়ের যানবাহন চালকদের প্রশিক্ষণবিহীন লাইসেন্স প্রদান না করা। আর ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ করা।
৪. ড্রাইভারদের বেপরোয়া মনোভাব পরিহার করতে হবে।
৫. ড্রাইভারদের নির্দিষ্ট গতিতে গাড়ি চালাতে হবে এবং ট্রাফিক আইন মান্য করতে হবে।
৬. সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বিদ্যমান আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রয়োজনে নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে।
৭. চালকদের দীর্ঘক্ষণ বিরামহীনভাবে গাড়ি চালাতে না দেওয়া।
৮. ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক ও বেহাল সড়ক সংস্কার করতে হবে।
৯.কানে হেডফোন লাগিয়ে রাস্তা পারাপার হওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে বিশেষ করে যুবকদের সচেতন হতে হবে।
১০. রাস্তা পারাপারের জন্য পথচারীদের ওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে হবে।
এককভাবে সরকারের ওপর সব দায়দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে বেশি দূর যাওয়া যাবে না। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চাই সমন্বিত উদ্যোগ। জাতিসংঘ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছে। আর বাংলাদেশ তাতে স্বাক্ষর করেছিলো। সুতরাং আমাদের অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে, নিশ্চিত করতে হবে নিরাপদ সড়ক।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।