মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৩
Homeজাতীয়স্কুল পালানোদের ধরতে ভ্রাম্যমাণ আদালত

স্কুল পালানোদের ধরতে ভ্রাম্যমাণ আদালত

জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন থেকে স্কুল পালানো শিক্ষার্থীদের ধরতে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়োগ করা হবে।সম্প্রতি স্কুল ছাত্রদের অনেকের মধ্যে বিপথগামী হবার প্রবণতা বৃদ্ধি, একজন ১০ শ্রেণীর ছাত্র সহপাঠীদের হাতে খুন হওয়াসহ কয়েকটি লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় সভাপতি হিসেবে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস সকলের সম্মতির ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।সভায় গত ৩ এপ্রিল রাতে শহরের নগুয়া এলাকায় মুখোশ পরা তরুণদের রামদা আর চাপাতি নিয়ে চালানো ভয়াবহ তা-বে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ ব্যাপারে শূন্য সহনশীলতা প্রদর্শন করে দোষীদের খুঁজে খুঁজে বের করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি তাগিদ দেয়া হয়। অবশ্য এ ঘটনায় ইতোমধ্যে অন্তত ১৩ তরুণকে আটক করে আদলতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সভায় নিজেদের সন্তানদের গতিবিধি ও চালচলন পর্যবেক্ষণ করার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

 

প্রতিটি বিদ্যালয় প্রধানকে প্রতিদিন ছাত্র হাজিরা গভীর মনযোগে পর্যবেক্ষণ করার তাগিদ দেয়া হয়।কোন শিক্ষার্থী ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয় থেকে ভিভাবককে মোবাইল এসএমএস করে অবহিত করার পদ্ধতি চালু করার আহবান জানানো হয়েছে। পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে সচেতনতামূলক সভা করা হবে বলেও জানানো হয়। সভায় শহরের যানজট পরিস্থিতির উন্নতি মাঝে মাঝেই ব্যাহত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ বলেন, আইনশৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৌর এলাকায় চলাচলের জন্য ৬শ’ অটোরিঙ্াকে চিহ্নিতকরণ স্টিকার দেয়া হয়েছে। অথচ প্রতিদিনই বহু স্টিকারবিহীন বাইরের অটোরিঙ্া ঢুকে যাচ্ছে। এর জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবেহেলার প্রতি তিনি ইঙ্গিত করেন। আর শহীদি মসজিদ প্রাঙ্গণ এবং পুরানথানা এলাকা থেকে সিএনজি স্ট্যান্ড অপসারণের জন্যও মেয়র পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

 

সভায় এবার হাওরাঞ্চলে বোরো ফসলের স্মরণকালের ভয়াবহ ক্ষতিতে উদ্বেগ ও সহমর্মিতা প্রকাশ করে ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ সহায়তা প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে হাওরাঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণারও দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি, যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কৃষকরা ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেছিলেন, তারা যেন এবার সুদ দাবি না করে, এমনি এই মুহূর্তে যেন ঋণের কোন টাকাই ফেরত দাবি না করে, সে ব্যাপারেও আহবান জানানো হয়।সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাকিব খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট মো. আব্দুল আউয়াল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মো. আসাদ উল্লাহ, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক, মিঠামইনের উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুস সাহিদ ভূঁইয়া, কটিয়াদী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহাব আইনুদ্দিন, ইটনা উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান, পাকুন্দিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, মিঠামইনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মশিউর রহমান খান, অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ সাদী, সদর থানার ওসি খন্দকার শওকত জাহান প্রমুখ।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -