ইসমাইল হোসেন: স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও স্বীকৃতি পাননি মুক্তিযোদ্ধা শমসের আলী। দেশের জন্য যে যোদ্ধা নিজের জীবনকে বাজি রেখেছিলেন তার এখন অর্ধাহারে-অনাহারে দিনকাটছে।
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের মৃত দরাজ আলীর ছেলে শমসের আলী। ৭১ সালে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। কাদেরিয়া বাহিনীর ১৫ নং কোম্পানী কমান্ডার খলিলুর রহমানের প্রত্যায়নপত্র নিয়ে বহু বছর ঘুরেও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় স্বীকৃতি মেলেনি তার নাম। মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ৪৬ বছর পরও জীবদ্দশায় তিনি স্বীকৃতি পেতে চান।
শমসের আলীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৯৭১ এ জীবন বাজি রেখে বাংলার স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনার জন্য যুদ্ধ করেছিল শমসের। বৃদ্ধ বয়সে এখনও তালিকায় নাম লেখাতে পারেনি। অনেকের কাছে ধর্না ধরেছে সে। কোনো কাজে আসেনি। বর্তমানে তিনি উপজেলার কুতুবপুর বাজারে কলার হাটে বেপারীদের ফুট-ফরমায়েশ করে যা কিছু পান তা দিয়ে সংসার চলছে। জমিজমা বলতে বসতভিটাটুকুই সম্বল।
শমসের আলী বলেন, ‘অভাব অনটনের কারণে, ছোট একটি মাটির ঘরে কোনোমতে বেঁচে আছি। দেশ স্বাধীনের সঙ্গে শরীক হলেও দুই মেয়ে পাঁচ ছেলেকে ভালোভাবে মানুষ করতে পারিনি। মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতির জন্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডারের সুপারিশ নিয়ে বিভিন্ন দফতরে ঘুরেও কোনো ফল পাইনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুতি, যাতে আমার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে প্রাপ্য সম্মানটুকু দেয়া হয়।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা খান মোহাম্মদ সেলিম, আবদুল গফুর বলেন, শমসের আলী একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা। কী কারণে এখনও তালিকায় তার নাম ওঠেনি তাদের জানা নেই।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সংসদের সাবেক কমান্ডার এম ও গণি ও কাদেরিয়া বাহিনীর ১৫ নং কোম্পানী কমান্ডার খলিলুর রহমান বলেন, শমসের একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। কি কারণে তার নাম বাদ পড়েছে বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে সে আমাদেন সঙ্গে যুদ্ধ করেছে।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।