সোমবার, ডিসেম্বর ৯, ২০২৪
Homeজাতীয়হেপাটাইটিস ভাইরাস --------ডা.রুনা লায়লা

হেপাটাইটিস ভাইরাস ——–ডা.রুনা লায়লা

জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ২৮শে জুলাই সারা পৃথিবীতে বিশ্ব ভাইরাল
হেপাটাইটিস দিবস পালন করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত করতে পারলে রোগের
জটিলতা,আর্থিক ক্ষতির পরিমান অনেক অংশে কমিয়ে আনা যায় এবং এ রোগ থেকে
সম্পূর্ন মুক্ত থাকা সম্ভব ।

সিরোসিস
* সারা পৃথিবীতে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী রয়েছে ।
* সারা পৃথিবীতে প্রায় ১.৪ মিলিয়ন জনসাধারণ ভাইরাল হেপাটাইটিসে মারা যায়। ৫%রোগীর দীর্ঘমেয়াদী (ঈযৎড়হরপ) জটিলতার সৃষ্টি হয় এবং ১%রোগীর চিকিৎসার অপ্রতুল্যতা রয়েছে ।
* টেকসই উন্নায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে, হেপাটাইটিস ভাইরাসে নতুন ভাবে আক্রান্তের হার ৯০% এবং হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাসে মৃত্যুর হার ৬৫% কমিয়ে আনা ।
হেপাটাইটিস কাকে বলে ?
বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট যকৃতের সংক্রমণকে ভাইরাল হেপাটাইটিস বলে। হেপা ল্যাটিন শব্দ এবং টাইটিস অর্থ প্রদাহ । হেপাটাইটিস অর্থ যকৃতের প্রদাহ যা ভাইরাস দ্বারা হয় ।
জন্ডিস কাকে বলে ?
যকৃতের প্রদাহ হলে জন্ডিস হতে পারে নাও হতে পারে । জন্ডিস কোন রোগ নয় এটি একটি রোগের উপসর্গ মাত্র । এটি পানি বাহিত রোগ ।

সাধারণত পাঁচ ধরনের ভাইরাস দ্বারা ভাইরাল হেপাটাইটিস হয় :
১. হেপাটাইটিস এ ভাইরাস ( এইচ এ ভাইরাস)
২. হেপাটাইটিস বি ভাইরাস ( এইচ বি ভাইরাস)
৩. হেপাটাইটিস সি ভাইরাস ( এইচ সি ভাইরাস)
৪. হেপাটাইটিস ডি ভাইরাস ( এইচ ডি ভাইরাস)
৫. হেপাটাইটিসই ভাইরাস ( এইচ ই ভাইরাস)

ভাইরাসের মধ্যে হেপাটাইটিস বি ও হেপাটাইটিস সি ভাইরাস সব চাইতে মারাত্মক। কারণ এ দুটি ভাইরাস দীর্ঘমেয়াদী (Chronic) জটিলতা সৃষ্টি করে । যেমন লিভার সিরোসিস , লিভার ক্যান্সারের মত জটিলতা সৃষ্টি করে । যার জন্য দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা ,আর্থিক ক্ষতির পরিমান এবং পরিনামে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে ।

হেপাটাইটিস এ ভাইরাস (Hepatitis A Virus)

যকৃতের প্রদাহ যা হেপাটাইটিস এ ভাইরাস (HAV) দ্বারা হয় । সারা পৃথিবীর মানুষ এ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়। এটি তেমন মারাত্মক ভাইরাস না। প্রাথমিক (acute) অবস্থায় এ রোগ নিজে থেকে (Self Limiting) ভাল হয়ে যায় ।

লক্ষণ :
অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপসর্গ বিহীন (Asymptomatic) থাকে। যেহেতু উপসর্গ বিহীন তাই রোগ নির্ণয় করা প্রয়োজন । তার মধ্যে খুব কম ফালমিনেন্ট হেপাটাইটিস ও লিভার ফেরিউর এ মত মারাতœক জটিলতার সৃিষ্ট হতে পারে ।
সুপ্তাবস্থা : ২৫- ৩০ দিন ।
কি ভাবে ছড়ায় : দূূষিত খাবার ,পানি ও মল ।
প্রতিরোধ : টিকা ,ব্যক্তিগতস্বাস্থ্য শিক্ষা , পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি করা মাধ্যমে হেপাটাইটিস এ ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব।

চিকিৎসা : হেপাটাইটিস এ ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণ হলে নিজে থেকে(Self Limiting) সেরে যায় তাই বিশেষ কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না ।

***জ্বর হলেই প্যারাসিট্যামলের মত ঔষধ খাওয়া উচিত না । এটি যকৃতের জন্য খুবই ক্ষতিকর ।

হেপাটাইটিস বি ভাইরাস (Hepatitis B Virus)

হেপাটাইটিস বি যকৃতের একটি অসুখ,যা হেপাটাইটিস বি ভাইরাস দ্বারা হয় । ভাইরাসের মধ্যে হেপাটাইটিস বি ও হেপাটাইটিস সি ভাইরাস সব চাইতে মারাত্মক ভাইরাস । কারণ এটি স্বল্পমেয়াদী (Acute) ও দীর্ঘমেয়াদী (Chronic) দুই ধরনের হতে পারে । এটি সারা পৃৃথিবীতে একটি মারাতাœক স্বাস্থ্য সমস্যা ।
সারা পৃথিবীতে প্রায় ৮,৮৭,০০০ জনসাধারণ হেপাটাইটিস বি এর জটিলতার কারণে মারা যায়, ২০১৫ সালের রিপোর্ট অনুসারে । আমরা হেপাটাইটিস বি সম্পর্কে কম বেশি সবাই জানি ।
লক্ষণ : স্বল্পমেয়াদী (Acute) হেপাটাইটিস বি ভাইরাস এর তেমন কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না ।
তবে কয়েক সপ্তাহ যাবত কেউ যদি হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রন্ত হয় তবে কিছু প্রকাশ পায় ।

লক্ষণ
* চামড়া ও ত্বক হলুদ
* দূর্বলতা
* ক্ষুধামন্দা
* তলপেটে ব্যথা
* প্রস্রাব হলুদ হওয়া
* লিভার আকারে বড় হওয়া

দীর্ঘমেয়াদী (Chronic)

* লিভার আকারে ছোট হয়ে যাওয়া
* লিভার সিরোসিস
* লিভার ক্যান্সার
* লিভার ফেলিউর ও মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে ।

হেপাটাইটিস বি ভাইরাস কি ভাবে ছড়ায় ?
১. রক্ত,শরীরের তরল পদার্থের মাধ্যমে
২. অন্যের ব্যবহৃত ইনজেকশন ,সিরিঞ্জ, নিডিল ব্যবহারের মাধ্যমে
৩. অনিরাপদ যৌন মিলনের মধ্যে
৪. মা থেকে বাচ্চার হতে পারে

যে বিষয়ে আমাদের বেশি সতর্ক থাকলে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্তের হার শতকরা ৯৫%কমিয়ে আনা সম্ভব :
লিভার সিরোসিস
১. টিকার মাধ্যমে ৯৫% হেপাটাইটিস বি ভাইরাস প্রতিরোধ করা যায় । বিশেষ সতর্কতার জন্য সবাইকে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের তিন ডোজ টিকা ( ০ মাস , ১ মাস পর এবং ৬ মাসে ) দেওয়া উচিৎ । টিকার মাধ্যমে ছোট বাচ্চ থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ হেপাটাইটিস বি ভাইরাস মত মরাতœক ব্যাধি থেকে সারা জীবন মুক্ত থাকতে পারে ।
২. গর্ভবতী মায়ের হেপাটাইটিস বি ভাইরাস পজিটিভ থাকলে মায়ের থেকে বাচ্চার এ রোগ হতে পারে । তাই গর্ভবতী মাকে অবশ্যই গর্ভকালীন সময় রক্তে বি ভাইরাস আছে কিনা তা জানার জন্য রক্ত পরীক্ষা করে দেখতে হবে । যদি মায়ের রক্তে খে খে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস পজিটিভ থাকে তাবে বাচ্চা প্রসব করার পর বাচ্চাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা দিলে বাচ্চা হেপাটাইটিস বি ভাইরাস থেকে সম্পূর্ন মুক্ত থাকতে পারবে।
৩. বাচ্চা সাধারণত প্রসবের (Normal Delivery) সময় বা সিজারিয়ান অপারেসনের সময় অবশ্যই যন্ত্রপাতি বিশেষ ভাবে জীবানু মুক্ত কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে । তা না হলে শুধুমাত্র অনিরাপদ যন্ত্রপাতির কারণে মা হেপাটাইটিস বি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে ।
৪. সেলুনে চুল কাটা ও দাঁড়ি কামানোর সময় অবশ্যই নতুন ব্লেড খুর ,সূচ ব্যবহার করতে হবে এবং ট্যাটু বা শরীরে খোদাই করে ছবি অঙ্কনের সময় এক জনের সুচ অন্য ব্যবহারের মাধ্যমে রোগী হেপাটাইটিস বি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে ।
৬. বিবাহের আগে পাত্রি বা পাত্র কারো যদি হেপাটাইটিস বি ভাইরাস পজিটিভ থাকে, সে যাকে বিবাহ করবে পাত্রি বা পাত্র যে পূর্বে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত কি না দেখতে হবে?  যদি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস নেগেটিভ বা পজেটিভ দেখার পর হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা নিলে হেপাটাইটিস বি দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা একদম থাকে না।

৭.যার রক্তে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস পজেটিভ তার হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা দেওয়ার প্রয়োজন নাই। হেপাটাইটিস বি ভাইরাস পজেটিভ শতকরা ৮০ জন সারা জীবন সুস্থ্য অবস্থায় জীবন কাটাতে পারে ,তবে সে এ রোগের বাহকের ভূমিকা পালন করবে ।
প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করলে সস্পূর্ন নিরাময় করা সম্ভব বাকি ২০% দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা (Chronic) লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের মত জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে ।
৮. হেপাটাইটিস বি ভাইরাস কোন বংশগত রোগ না । সুতরাং বংশে কেউ এ রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয় চিন্তার কোন করাণ নাই
*** বিশেষ সতর্কতার জন্য সবাইকে অবশ্যই হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা দেওয়া উচিৎ ।
টিকার মাধ্যমে এ রোগ থেকে সম্পূর্ণ বা ৯৫% মুক্ত থাকা সম্ভব ।

হেপাটাইটিস সি ভাইরাস (Hepatitis C Virus)

হেপাটাইটিস সি যকৃতের একটি প্রদাহ ,যা হেপাটাইটিস সি ভাইরাস দ্বারা হয়। হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের মত হেপাটাইটিস সিও খুব মারাত্মক ভাইরাস কারণ এটি স্বল্পমেয়াদী (Acute) ও দীর্ঘমেয়াদী (Chronic) এ দুই ধরণের হতে পারে ।
ক্স যদি প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত করা সম্ভব হয় তবে স্বল্পমেয়াদী (Acute)১৫-৪৫%কে কোন ধরণের চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ্য করা সম্ভব।
* বাকি ৬০-৮০% এর দীর্ঘমেয়াদী (Chronic) জটিলতা করে এবং এর মধ্যে ১৫-৩০% এর ২০ বছর পর যকৃতে সিরোসিস হতে পারে এবং যার কারনে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে ।
* সারা পৃথিবীতে দীর্ঘমেয়াদী (Chronic) হেপাটাইটিস সি ভাইরসে আক্রান্ত প্রায় ৭১ মিলিয়ন জনসংখ্যা রয়েছে এবং তার মধ্যে সারা পৃথিবীতে প্রায় ৩,৯৯,০০০ ব াপ্রায় ৪ মিলিয়ন জনসংখ্যা দীর্ঘমেয়াদী (Chronic) হেপাটাইটিস সি ভাইরসের জটিলতার কারণে মৃত্যুবরণ করে ।
* যদি প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত করা সম্ভব হয় তবে দীর্ঘমেয়াদী (Chronic) জটিলতার যেমন সিরোসিস ও যকৃতের ক্যান্সার পরিমান কমিয়ে আনা সম্ভব ।

কি ভাবে ছড়ায় ?

রক্তের,শরীরের তরল পদার্থের মাধ্যমে
অন্যের ব্যবহৃত ইনজেকশন ,সিরিঞ্জ , নিডিল ব্যবহার করলে

লক্ষণ : হেপাটাইটিস সি ভাইরাস সাধারণত লক্ষণ বিহীন থাকে

রোগ চিহ্নিতকরণ : শুধুমাত্র রক্ত পরীক্ষা।

প্রতিরোধ : হেপাটাইটিস সি ভাইরসের সম্পূর্ণ কোন টিকা নাই

চিকিৎসা :
* প্রাথমিক অবস্থায় চিহ্নিত করতে পারলে এ রোগ সফল ভাবে নিরাময় করা সম্ভব ।
* মুখে খাওয়ার ঔষধ ও ইনজেকশনের মাধ্যমে ৩-৬ মাসের মধ্যে শতকরা ৯৫ জনকে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস থেকে সম্পূর্ন নিরাময় করা সম্ভব ।

***হেপাটাইটিস সি ভাইরসের সম্পূর্ণ কোন টিকা নাই

হেপাটাইটিস ডি ভাইরাস (Hepatitis D Virus)
হেপাটাইটিস ডি যকৃতের প্রদাহ যা হেপাটাইটিস ডি ভাইরাসের কারনে হয়ে থাকে। এ ভাইরাসকে ডেল্টা ভাইরাসও বলা হয় ।
* হেপাটাইটিস বি ও ডি একই ভাবে ছড়ায়।
* সারা পৃথিবীতে হেপাটাইটিস ডি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত প্রায় ১৫ মিলিয়ন জনসাধারণ আছে ।
* হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা দ্বারা হেপাটাইটিস ডি ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব ।
***হেপাটাইটিস ডি ভাইরাস তাদের হয়, যারা পূর্বেই হেপাটাইটিস বি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত।

হেপাটাইটিস ই ভাইরাস (Hepatitis E Virus))

হেপাটাইটিস ই যকৃতের একটি প্রদাহ, যা হেপাটাইটিস ই ভাইরাস দ্বারা হয় । যাকে আমরা ভাইরাল হেপাটাইটিস বলে থাকি ।

* সারা পৃথিনীতে প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষ হেপাটাইটিস ই দ্বারা সংক্রমিত হয় তার মধ্যে প্রায় ৩.৩ মিলিয়ন মানুষের রোগের লক্ষন প্রকাশ পায়।
* বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে সারা পৃথিবীতে ভাইরাল হেপাটাইটিস ই এর কারণে মৃত্যুর হার প্রায় ৩.৩% ।

হেপাটাইটিস ই ভাইরাস নির্দিষ্ট সময় পর (Self-limiting) নিজে নিজে ভাল হয়ে যায় । তবে স্বল্প মেয়াদী (Acute) থেকে দীর্ঘ মেয়াদী (Chronic) যেমন : ফালমিনেণ্ট হেপাটাইটিস বা লিভার ফেলিউর মত জটিলতা হতে পারে ।

***গর্ভবতী মহিলার দ্বিতীয়-তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে হেপাটাইটিস ই ভাইরাস দ্বারা আক্রন্ত হলে প্রায় ২০-২৫%এর লিভার ফেলিউর এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে ।

সুপ্তাবস্থা :
* ৫-৬ সপ্তাহ

হেপাটাইটিস ই কি ভাবে ছড়ায় ?
* দূূষিত খাবার ও পানি
* দূর্বল সেনেটারি ব্যবস্থা
* মার থেকে বাচ্চা আক্রান্ত হতে পারে
লক্ষণ :
* জর ,ক্ষুধামন্দা , বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব
* পেটে ব্যথা ,জন্ডিস,চোখ সাদা ও ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া , প্রসাব রং হলুদ হওয়া ।

প্রতিরোধ :
* নিরাপদ পানি ও সঠিক পদ্ধতিতে পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা
* নিরাপদ পানি দিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে হাত ধোয়ার অভ্যাস
* উন্নত স্বাস্থ্য শিক্ষা

চিকিৎসা :
* কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নাই । কারণ হেপটিইটিস ই ভাইরাস (Self-limiting) নিজে নিজে ভাল হয়ে যায় (৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে)
* সম্পূর্ন বিশ্রাম ও উপযুক্ত পরিমানে সুষম খাবার গ্রহনের মাধ্যমে হেপাটাইটিস ই সম্পূর্ণ ভাল হয়ে যায়।

 

————ডা.রুনা লায়লা

এম বি বি এস , এম পি এইচ ( মা ও শিশু স্বাস্থ্য ), সি সি ডি-বাডেম

পিজিটি – গাইনী এবং অবস্ , সি এম ইউ এন্ড ডি এম ইউ- আল্টাসোনোগ্রাফী

ম্যানেজার ,ব্র্যাক এইচ আর এ- লার্নিং ডিভিশন।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -