বিড়ি ইজ ডেঞ্জারাস ফর হেলথ দেন সিগারেট’ মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিন বছর পর বাংলাদেশে বিড়ি থাকবে না।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্দোলনরত বিড়িশ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিড়িশ্রমিক নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। এটা করার অধিকার আপনাদের নেই।”
এসময় বিড়িশ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ মহীউদ্দিন বলেন, “বিড়ির ওপর ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ শতাংশ। অন্যদিকে সিগারেটের ওপর ট্যাক্স কমানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। এটা হলে বিড়িশিল্প ধসে পড়বে। লাখ লাখ বিড়িশ্রমিক বেকার হয়ে যাবে।”
জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা তো সিদ্ধান্ত নিয়েছি দুই বছর পরে বাংলাদেশে আর বিড়ি রাখব না। কোনো অবস্থাতেই প্রাণঘাতী বিড়িকে বাংলাদেশে রাখা হবে না। আপনারা তো বিড়ি খাইয়ে মানুষকে মারতে পারেন না। এটার অধিকারও আপনাদের নেই। আমি যখন ছাত্র ছিলাম তখন নাজিমউদ্দিন রোডে অনেক বিড়ির কারখানা দেখেছি। এখন একটাও নেই। বিড়ি ইজ সো ব্যাড, সিগারেট থেকে।”
তখন শেখ মহীইদ্দিন বলেন, “আমাদের কাছে এক হাজার কোটি টাকার কাঁচা তামাক পড়ে আছে কাঁচামাল হিসেবে। আমরা এগুলো এখন কী করব? আপনি তো আমাদের অভিভাবক।”
অর্থমন্ত্রী বলেন, “ঠিক আছে, আপনাদের দুই বছর না তিন বছর সময় দেয়া হলো। এর মধ্যে সব শেষ করে ফেলেন। আমরা সিগারেটের পক্ষেও না। সেটা নিয়েও কাজ চলছে।”
অর্থমন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে বিড়ির ওপর ২০০ পারসেন্ট ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে শেখ মহীউদ্দিন মন্তব্য করলে তার প্রতিবাদ করে মন্ত্রী বলেন, “না না না। এটা আমি নিজেই করেছি। আমি বুঝেশুনেই করেছি। বরং প্রধানমন্ত্রী এটাতে রাজি ছিলেন না। আমিই প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে এটা করেছি।”
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিড়িশ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ দে।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।