টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দুই উপ পরিদর্শক (এসআই) ও দুই কনস্টেবলকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এছাড়া আরও চার সদস্যের ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা হয়েছে।
বিভাগীয় তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার (১ আগস্ট) তাদের চাকরিচ্যুত ও ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা হয়।
এরা হলেন- ঘাটাইল থানার সাবেক উপ-পরিদশর্ক (এসআই) মনসুর আহম্মেদ, সেলিম উদ্দিন, কনস্টেবল জিয়াউল হক (জিয়া) ও আমিনুল।
এছাড়া এসআই ওমর ফারুকের (নাগরপুর থানা) পাঁচ বছর, আবুল বাশারের (নেত্রকোনা সদর থানা) তিন বছর, কনস্টেবল মাহাতাব উদ্দিন (টাঙ্গাইল কোর্ট) ও তমাল চন্দ্রের দুই বছরের জন্য ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিডিয়া সেলের প্রধান সৈকত শাহীন বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) ঘাটাইল থানার আলামীন ও তার মাকে ডেকে এনে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে কালিহাতীর ছাতুটিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম রোমা ও তার ভগ্নিপতিসহ কয়েকজন। এ ঘটনায় এলাকাবাসী দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ১৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ঘাটাইলের হামিদপুর বাজারে এবং কালিহাতী সদরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে চারজন নিহত হন, গুলিবিদ্ধ হয় আরও সাতজন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- ঘাটাইল উপজেলার সাতুটিয়া গ্রামের ফারুক হোসেন (৩২), কালিয়া গ্রামের আজাহারের ছেলে শামীম (৩৫), কালিহাতী সদরের রবি দাশের ছেলে শ্যামল দাস (১৫) ও বেতডোমা গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে রুবেল হোসেন (২০)।
এদের মধ্যে ফারুক ঘটনার দিন কালিহাতী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, শামীম টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ও শ্যামল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। আর রুবেল হোসেন ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত করে প্রশাসন। তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ওই চার পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়।