ডেস্ক রিপোর্ট ● শ্রীবরদী উপজে’লা সদরে এক গৃহবধূকে (১৮) তার ভাসুর নয় দিন ধরে ঘরে তালাব’দ্ধ রেখে ধ’র্ষণ করেছে। ভাসুরের এ অ’পকর্মে সহায়তা করেন ওই গৃহবধূর শ্বশুর-শাশুড়ি। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ পা’লিয়ে গিয়ে বুধবার থা’নায় মা’মলা করে।
পরে পু’লিশ অ’ভিযান চালিয়ে অ’ভিযুক্ত যুবককে (২৫) গ্রে’প্তার করে। পু’লিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ মাস আগে পারিবারিকভাবে ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ভাসুরের কুনজর পড়ে সে।
তার স্বামী অটোরিকশা চালক। প্রতিদিন সকালে তিনি অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে ফেরেন রাতে। এই সুযোগে গত ২৮ মে শ্বশুরবাড়িতে ভাসুর তাকে ধ’র্ষণ করে। এরপর ঘটনাটি তার স্বামী বা অন্য কাউকে না বলার জন্য ভ’য় দেখাতে থাকে।
ওই গৃহবধূর স্বামী সকালে ঘরে থেকে বের হওয়ার পরপরই তার ভাসুর তাকে ঘরে তালাব’দ্ধ রেখে ধ’র্ষণ করত। এভাবে নয় দিন ধরে চলার পর স্বামীকে সব ঘটনা খুলে বলে সে। এ সময় তার স্বামী আত্মহ’ত্যার চে’ষ্টা করে।
পরে তার শ্বশুর-শাশুড়ি ছেলেকে আবার বিয়ে করানোর কথা বলে। এরপর ওই গৃহবধূ আ’ইনের আশ্রয় নিতে চাইলে তার স্বামী বাঁ’ধা দেয়। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ কৌশলে ওই বাড়ি থেকে পা’লিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যায়।
এরপরও থা’নায় মা’মলা না করার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে ভ’য়ভী’তি দেখাতে থাকলে কয়েকদিন লুকিয়ে থাকে সে। সেখান থেকে বুধবার থা’নায় গিয়ে মা’মলা করে।
শ্রীবরদী থা’নার ওসি রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, ‘এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বা’দী হয়ে ভাসুর, স্বামী, শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে আ’সামি করে একটি মা’মলা করেছে। তার ভাসুরকে গ্রে’প্তার করা হয়েছে। স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রে’প্তারের চে’ষ্টা চলছে।’