নিজস্ব প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের বিরুদ্ধে ‘আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের’ অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে সখীপুর উপজেলা বিএনপির চারজন নেতা যে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি তা আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামান শাহীন এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল স্বাক্ষরিত পৃথক চারটি পত্রে পদত্যাগপত্র গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সবগুলো পত্রই ২৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ইস্যু করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে তারা হলেন— সখীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি (সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত) শাহজাহান সাজু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছেদ মাস্টার, সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান এবং সখীপুরের গজারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ। প্রতিটি পত্রেই উল্লেখ ছিল— “এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হলো।”
পদত্যাগপত্রগুলোর অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল-৮ আসনের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের কাছে এবং সখীপুর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির কাছে।
গত কয়েকদিনে আহমেদ আযম খানের বিরুদ্ধে স্থানীয় পর্যায়ে ‘আওয়ামী লীগপন্থীদের পুনর্বাসন’ এবং সাংগঠনিকভাবে স্বেচ্ছাচারের অভিযোগ তুলে সখীপুর উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা পদত্যাগ করেন। জেলা বিএনপি তাদের মধ্যে চারজনের পদত্যাগ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করায় বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
