রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
Homeটাঙ্গাইল জেলাভূঞাপুরে ৩ বছরের শারীরিক মেলামেশা, বিয়ে না করায় তরুণীর অনশন

ভূঞাপুরে ৩ বছরের শারীরিক মেলামেশা, বিয়ে না করায় তরুণীর অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রায় ৩ বছরের প্রেমের সম্পর্কে শারীরিক মেলামেশার অভিযোগ করেছেন এক তরুণী। এ ঘটনায় ওই তরুণীর প্রেমিক আল-আমিনের (২২) বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন সে। উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রেমিক আল-আমিন বাদশা মিয়ার ছেলে এবং ওই তরুণীর বাড়ী রাউৎ বাড়ী গ্রামে।

সোমবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রেমিক আল-আমিনের বাড়িতে তরুণী অনশন করছেন। এরআগে রবিবার থেকে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। এদিকে, আল-আমিনসহ তার পরিবারের লোকজন ঘরে তালা ঝুলিয়ে পলাতক রয়েছে।

ভুক্তভোগী তরুণী জানান, মাদরাসায় আসা-যাওয়াকালে ৩ বছর আগে থেকে আল-আমিন প্রেমের প্রস্তাব দিতো ও উক্ত্যক্ত করতো। বিষয়টি আমার পরিবারকে জানালে কয়েকমাস পর পাশের গ্রামের এক ছেলের সঙ্গে আমাকে বিয়ে দেন। বিয়ের পরেও আল আমিন নানা সময়ে কু-প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করতো। একপর্যায়ে আল-আমিনের ফাঁদে আমি পা দেই। সে থেকেই অনেক সময় স্বামী বাড়ি না থাকায় আল-আমিন আমার সঙ্গে জোরপর্বক শারীরিক মেলামেশা করে এবং কাউকে জানালে স্বামীসহ পরিবারের লোকজনের কাছে বলে দেওয়ার হুমকি ও বিভিন্ন সময়ে ইচ্ছের বিরুদ্ধে শারীরিক মেলামেশা করে।

সম্প্রতি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আল-আমিন রাতে আমাকে বাগবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে তার কর্মস্থল জামালপুরের কথা বলে আমাকে শেরপুর নিয়ে যায়। তারপর একটি নির্জন বাসায় ৩-৪ দিন আটকে রেখে শারীরিক মেলামেশা করে এবং বিয়ের কথা বলে সেখান থেকে আমাকে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।

তারপর আল-আমিনের সাথে যোগাযোগ করলে জানায়- আমাদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবে। কিন্তু সে আর প্রস্তাব পাঠায়নি। কয়েকদিন আগে জানতে পারি সে বিয়ে করছে। এ খবর পেয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন করছি। ওর কারণে আমার সংসার ভাঙেছে ও স্বামী ডিভোর্স দিয়েছে। সে বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি এ বাড়ি থেকে যাব না।

স্থানীয়রা জানান, আল-আমিন ছেলেটি বখাটে। দীর্ঘদিন ধরে মেয়েটির সাথে প্রেমের সস্পর্ক ছিল বলে জেনেছি। গত রবিবার থেকে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক আল-আমিনের বাড়িতে অনশন করে আসছে। কিন্তু বাড়ির লোকজন সবাই পালিয়েছেন।

এদিকে, আল-আমিনসহ তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে না থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদারকে একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ করেনি।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী মেয়েটি কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -