সংগৃহীত ছবি

অসংলগ্ন কথাবার্তা আর অস্বাভাবিক দেহভঙ্গিতে সকাল দুপুর রাতে হরহামেশাই পথচারী ও যাত্রীদের কাছ থেকে অর্থ দাবি করে থাকেন হিজড়ারা। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের ট্রাফিক সিগন্যাল ও বিনোদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে হিজড়াদের এই উৎপাতের কারণে অস্বস্তিতে পড়েন অনেকে।

১১ এপ্রিল মঙ্গলবার সময় টিভি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর আগারগাঁও, ফার্মগেট, বিজয় সরণিসহ বিভিন্ন পার্কে হিজড়াদের উৎপাতের পরিমাণ বেশি। নানা টালবাহানায় নগরবাসীর কাছে অর্থ দাবি করে তারা। অসম্মতি জানালে অশ্রাব্য গালাগাল থেকে শুরু করে শারীরিক নির্যাতনেরও অভিযোগ করেছেন অনেকে।

বিভিন্ন উৎসবেও নানা বাহানায় অর্থ আদায় করে হিজড়ারা। তাদের পয়সা চাওয়ার ধরণকে চাঁদাবাজির সাথে তুলনা করেছেন কেউ কেউ। সমাজ সেবা অধিদফতরের তথ্য মতে, সারাদেশে ২০ হাজার এবং রাজধানীতে প্রায় দুই হাজার হিজড়ার বসবাস করলেও তাদের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার।

কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় এই জনগোষ্ঠী অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘সমাজ যেহেতু সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, আর আমরা যেহেতু অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী তাই আমি মনে করি অনেকেই এখানে এগিয়ে আসতে পারেন।’

সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে হিজড়াদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে সমাজ কল্যাণ অধিদফতর। হিজড়াদের সহায়তায় শিক্ষাবৃত্তি, মাসিক ভাতা ও কর্মসংস্থান সহায়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি তাদের। তবে, কাজের সুযোগ পেলে ভিক্ষাবৃত্তি বা এ ধরণের চাঁদাবাজি থেকে বিরত থাকতেন বলে জানান হিজড়ারা।